রম্য
জাতীয় দলের ফুটবলাররা এখন যা করতে পারেন!
ভুটানের কাছে হেরে যাওয়ায় আগামী তিন বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে প্রায় নির্বাসিত বাংলাদেশ। এই দীর্ঘ সময়ে অলস না থেকে দেশের ফুটবলাররা যা করতে পারেন, তার কিছু পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো। আশা করি, খেলোয়াড়রা বিষয়টি স্পোর্টিংলি নেবেন।
দড়িলাফ : ফুটবলের সঙ্গে লাফালাফির সম্পর্ক আছে। বল রিসিভ করতে গিয়ে কিংবা হেড করতে গিয়ে লাফ দিতে হয়। ফুটবলাররা যেহেতু লাফালাফির সঙ্গে বেশ পরিচিত, সেহেতু তাঁরা দড়িলাফ খেলায় যোগ দিতে পারেন! এখানে সাফল্য পাওয়ারও সমূহ সম্ভাবনা!
কাবাডি : ফুটবলে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে নিরাপদে থাকতে হয়। কাবাডিতে বল নয়, শুধু প্রতিপক্ষকে ছুঁয়ে নিরাপদে আসতে হয়। সুতরাং ফুটবলাররা এখন কাবাডিতে মনোযোগী হতে পারেন!
চলো কুতকুত : এ নামে একটি গ্রামীণ খেলা আছে। যেখানে একটি ঘুঁটিকে নির্দিষ্ট ঘরে ঢোকানোর কসরত করতে হয়। ফুটবলেও বলকে নির্দিষ্ট ঘর তথা পোস্টে ঢোকাতে হয়। অতএব, ফুটবলাররা এবার চলো কুতকুতে নেমে পড়তে পারেন!
লুডু : এ খেলায় আঁকাবাঁকা ঘর পেরিয়ে প্রতিপক্ষকে ডিঙিয়ে নির্দিষ্ট ঘরে নিয়ে যেতে হয় ঘুঁটিকে। ফুটবলেও প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে এঁকেবেঁকে এগিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট পোস্টে বলকে প্রবেশ করাতে হয়। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসিত আমাদের ফুটবলাররা তাই লুডুতে লেগে যেতে পারেন!
কারাতে : ফুটবল ম্যাচে বলের মধ্যে জোরে কিক দিতে হয়, গোলকিপারকে হাত দিয়ে বলে ঘুষি দিতে হয়। কারাতে খেলায়ও কিন্তু কিক, ঘুষি এসব আছে। আমাদের ফুটবলাররা বেকার না থেকে এ খেলায় যোগ দিতে পারেন!