‘আগামী বছর থেকে গাড়ি তৈরি করবে বাংলাদেশ, দাম হবে সাশ্রয়ী’
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশ নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরি করবে। অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসির আওতায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ গাড়ি চালু করা হবে। নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ির দাম আমদানি করা গাড়ির দামের চেয়ে কম হবে বলেও জানান তিনি।
বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ‘খুব শিগগিরই অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসি-২০২০ চূড়ান্ত করা হবে। আমরা আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে গাড়ি তৈরি শুরু করব।’
মন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশনের কারিগরি সহায়তায় গাড়ি তৈরি শুরু করবে।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, মিতসুবিশি করপোরেশনসহ জাপানের অন্য অটোমোবাইল শিল্প উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।’
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো জানিয়েছেন, জাপানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি উৎপাদনে কারিগরি সহযোগিতা দেওয়া হবে। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশে অটোমোবাইল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প সম্পর্কিত ভেন্ডর শিল্পের বিকাশ এবং বাংলাদেশে একটি অটোমোবাইল টেস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপনে সহায়তা করারও প্রস্তাব দিয়েছেন।’
শিল্প মন্ত্রণালয় গাড়ি শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প খাতের উন্নয়নে এরই মধ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘এ কর্মপরিকল্পনা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
দেশীয় গাড়ি উৎপাদনের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি শুল্কের কারণে বাংলাদেশে বিদেশি গাড়িগুলোর দাম বেশি হয়। কিন্তু দেশে গাড়ি তৈরি হলে এর দাম কমবে। জনগণ সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়ি কিনতে পারবে। দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি উৎপাদন হলে, ক্রেতার অভাব হবে না।’
শিল্পমন্ত্রী দেশের যুবসমাজকে ‘উদ্ভাবনী কর্মশক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘তরুণদের কাজে লাগিয়ে এ শিল্প গড়ে তুললে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে গাড়ি এবং মোটরসাইকেল বিশ্ববাজারে রপ্তানির সুযোগও তৈরি হবে।