অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে ব্যবস্থা : বাংলাদেশ ব্যাংক

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

যারা অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বুধবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের প্রিয়জনদের জানানো যাচ্ছে যে, কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনও অবৈধ পথে) প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনাদের অর্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি বা অন্য কোনও অবৈধ পথে না পাঠিয়ে বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করুন। দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। 

প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে হুন্ডি তৎপরতা বেড়ে গেছে। আর এর ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলের রেমিট্যান্সে বড় পতন হচ্ছে। ব্যাংকের চেয়ে ভালো রেট পাওয়া এবং খরচ কম হওয়ায় প্রবাসীদের একটি অংশ অবৈধ পন্থা জেনেও হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে। হুন্ডি চক্রে বন্দি হয়ে পড়েছে বৈধপথের রেমিট্যান্স।

ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে প্রতি ডলারে অন্তত ছয় টাকা বেশি পাওয়া যাচ্ছে, যা হুন্ডি প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

সাধারণত বাণিজ্যের আড়ালে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়। মূলত শুল্ক ফাঁকি ও অর্থ পাচারের জন্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় কম মূল্য বা বেশি মূল্য দেখানো হয়। অর্থ পাচারের জন্য দেশের বাইরে যে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন পড়ে, তা হুন্ডিচক্র মেটায়। ব্যাংকিং চ্যানেলে কেউ পাঠালেও প্রবাসীর সুবিধাভোগী দেশে টাকা পান। বিদেশি হুন্ডি এজেন্ট প্রবাসীর বৈদেশিক মুদ্রা কিনে এখানে টাকা পরিশোধ করে। ব্যবসার পাশাপাশি যারা বিদেশে বাড়ি বা অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেন, তারা নানাভাবে হুন্ডি চক্রের দ্বারস্ত হন।