আবার বাড়ছে ডিমের দাম

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে আবারও বাড়ছে ডিমের দাম। আজ শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবজার, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মিরপুর, রামপুরা, শান্তিনগর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এ টিত্র দেখা গেছে। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ডিমের ডজন বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ডিমের ডজন ছিল ১২০ টাকা।

শনির আখড়ার ডিম ব্যবসায়ী হারুন বলেন, ‘ডিমের ডজন ১৬০ টাকা কিছুদিন আগে হয়েছিল। দাম বেশি হওয়ার কারণে সে সময় ডিমের চাহিদা কমে যায়। এই কারণে ডিমের দাম ডজন ১২০ টাকায় নামে। তবে এখন আবার ডিমের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে দাম বাড়ছে।’

এদিকে বাজারে ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে পেঁয়াজের কেজি ৩৫ টাকার ওপরে ছিল। এ ছাড়া, কাঁচা মরিচের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গত সপ্তাহের মতো বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। আর এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

সবজির বাজার

বাজারে নতুন সবজি শিম ও ফুলকপির দাম বেশি। বর্তমানে বাজারে শিম ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । শিমের দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে পাকা টমেটো, গাজর এবং বরবটির দাম। এক কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপের কেজি ২৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি, ঝিঙে, চিচিঙ্গা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিং মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি এবং ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

অপরদিকে অপরিবর্তি রয়েছে মুরগির দাম। বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি করছেন ১৮০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনানি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর সোনানি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা বিক্রি হয়। এ ছাড়া বাজারে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম ৮০০ টাকা।