একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৬০ টাকা!
আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে নতুন দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহের শেষের দিন বৃহস্পতিবারও দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। গতকাল শুক্রবার তা বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। আজ শনিবার তা আর না বাড়লেও গতকালের বর্ধিত দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশি পুরোনো পেঁয়াজ আগের মতো ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
গত দুই দিন রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজারসহ একাধিক বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা কাদের আলী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০ টাকার মতো বেড়ে গেছে। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও দেশি নতুন পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। সপ্তাহের শেষের দিকে দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তা ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়।’
এদিকে দেশি পেয়াজের পাশাপাশি আমদানিকৃত পেয়াজের দামও বেড়েছে। মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে।
কারওয়ান বাজারের অপর এক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘এ বছর দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন কম। দেশি পেঁয়াজের দাম ভালো পেয়ে চাষিরা আগেই তুলে সেগুলো বেচে দিয়েছে। এখন মাঝামাঝি সময়ে পেঁয়াজ নাই, তাই দামটা বেড়ে গেছে। আগে এমন সময়ে ২০০ বস্তা পাইতাম, এখন সেখানে ৫০ বস্তা পাই আমরা। আর এলসি নাই, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ নাই, এজন্যই বাজারটা বেশি। কিন্তু এর আগে কোনো বছর এই সময় এত দাম হয় না।’
কারওয়ান বাজারে আসা সুমাইয়া আক্তার নামের এক নারী বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কমাতে জনমনে একটা স্বস্তি ছিল। এখন দেখি আবার আগের দামে ফিরে যাচ্ছে। ২৫০ টাকা যখন ছিল, তখন একবারে পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ১০০ টাকার নিচে আসায় পেঁয়াজ আবার কিনেছি, এখন দেখছি আবার পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দিতে হবে।’ তিনি বলেন, সরকার এখন যদি কঠোরভাবে পেঁয়াজের দাম মনিটরিং করে তাহলে দ্রুত পেঁয়াজের দাম কমবে।
এদিকে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে শীতকালীন সবজির দামও বেড়েছে। আজ কাওরানবাজারে দেখা যায়, টমেটো প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, গাজর ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়, শিম কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, শসা ৭০ টাকায়, ক্ষিরা ৫০ টাকায়, ঝিঙা ৬০ টাকায়, করলা ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পেঁপে ৩৫ টাকায়, নতুন আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। আকার ভেদে প্রতিটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা ও লাউ ৬০ টাকা। আঁটিপ্রতি লালশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।