এলাচের দাম বেড়েছে ১০০০ টাকা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/01/03/bazar-dor.jpg)
কারওয়ানবাজারে কেনাকাটা করছিলেন রফিকুল ইসলাম। মসলার দোকানে গিয়ে এলাচের দাম জিজ্ঞাসা করলেন। নিলেন ১০ গ্রাম এলাচ। যার দাম পড়েছে ৪২ টাকা। নেওয়ার সময় রফিকুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বললেন, ‘এরচেয়ে বেশি নেওয়ার সম্ভব না।’
ওই হিসাবে এলাচের কেজি পড়ে ৪ হাজার ২০০ টাকা। এ ব্যাপারে মসলার দোকানি মো. আলী হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরাই মৌলভীবাজার থেকে প্রতিকেজি এলাচ কিনে আনছি ৪ হাজার টাকা। বিক্রি করছি ৪ হাজার ২০০ টাকা। অথচ, গত সপ্তাহে কিনেছি ৩ হাজার টাকায়। এক সপ্তাহে এক হাজার টাকা দাম বেড়েছে।’
আলী হোসেন বলেন, ‘কেন দাম বাড়ছে তা আমরা জানি না। বাড়ছে এটাই জানি। গত নভেম্বর মাসে প্রতিকেজি এলাচ কিনছি ২ হাজার ৩০০ টাকা। ডিসেম্বর মাসে কিনছি ৩ হাজার টাকা। আর ডিসেম্বরের শেষ দিকে ৪ হাজার টাকা করে কেনা শুরু করেছি।’
এলাচ নিয়ে একই কথা শোনালেন বিক্রেতা রাকিব হাসানসহ আরো দুজন বিক্রেতা। তারা জানালেন, দুই মাসে এলাচের দাম বাড়ছে প্রায় দুই হাজার টাকা।
এছাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোজ্যতেল প্রতি পাঁচ লিটার তেলের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে পাঁচ লিটার তেলের দাম ছিল ৪৪০ টাকা। আজ ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে চিনির দামও।
এদিকে পেঁয়াজের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ১৭০ টাকা দরে। অথচ গত বুধবারও ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন বিক্রেতারা। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা ও মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা গেছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুর সবুর বললেন, ‘দেশি পেঁয়াজের দাম দুই দিনে বেড়েছে ৫০ টাকা কেজিতে।’
আবদুর সবুর বলেন, ‘কারণ, পেঁয়াজের দাম যখন ২৫০ টাকার বেশি ছিল তখন চাষিরা খেত থেকে ছোট গাছসহ পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। তখন গাছসহ বিক্রি করেছেন ১৫০ টাকা দরে। পেঁয়াজ গাছের পাতা ভাজি করলে খুব ভালো লাগে। আমার ভাইয়েরও পেঁয়াজ খেত ছিল। এখন আমার ভাই হায় হায় করতেছে। সে সব গাছ তুলে বিক্রি করে দিয়েছে। সেজন্য আবার নতুন করে পেঁয়াজ না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম করবে না।’
শুধু পেঁয়াজ নয়, দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। গত সপ্তাহে ৬০ টাকা দরে মরিচ বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে। বেগুনের দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকা। তবে ফুলকপি ও বাধাকপির দাম পিস প্রতি ১০ টাকা করে কমেছে।