লাখপতির গল্প

করোনায় অনলাইন ব্যবসায় ব্যাপক সাফল্য ভৈরবের তিন নারীর

Looks like you've blocked notifications!
ভৈরবের নারী উদ্যোক্তা মেহবুবা ফেরদৌস মিথিলা, নাবিলা রহমান ও ফারজানা আক্তার (বাঁ থেকে)। ছবি : এনটিভি

কেউ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কেউ বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে। আবার কেউ জড়িত ছিলেন প্রাইভেট শিক্ষার সঙ্গে। এইভাবেই চলতো অনেকের জীবনের অর্থনীতির চাকা। জীবন-সংসারে পরিবার-পরিজন নিয়ে এক প্রকার কেটে যাচ্ছিল সবার। কিন্তু আচমকা ঝড়ের মতো বাঁধ সাধলো বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯।

একদিকে সংক্রমিত এই রোগ থেকে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। অন্যদিকে দফায় দফায় সরকারি লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা। মধ্যবিত্ত আর নিম্নমধ্যবিত্ত অনেক পরিবারের অর্থনীতির সচল চাকাটাকে করে দেয় অচল। জীবন বাঁচানোর তাগিদে মানুষ তখন বিকল্প কর্মসংস্থানের সন্ধানে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বেছে নেন অনেক কাজ, যা তার সঙ্গে ঠিক মানায় না। তবু জড়িয়ে নেন সেই কাজে, জীবনের প্রয়োজনে।

ঠিক এই সময় ঘরেবন্দি কিছু নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের জড়িয়ে নেন অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককেন্দ্রিক এই ব্যবসায় যেমনি তৈরি হয় কর্মসংস্থান, তেমনি ঘরবন্দি মানুষের প্রতিদিনের হরেক রকম চাহিদার পণ্য প্রাপ্তিতে হয় সহজলভ্যতা। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের প্রয়োজনেই ব্যবসাটির শাখা-প্রশাখা বিস্তার লাভ করে।

দেশব্যাপী এই ব্যবসার সঙ্গে ভৈরবেরও দুই শতাধিক নারী নিজেদের জড়িয়ে নেন। যারা কোনো দিন ভাবেননি ব্যবসা করবেন, তারাও এই অনলাইনের কল্যাণে হয়ে যান ব্যবসায়ী। আর একের সফলতায় অন্যেরা এগিয়ে এসে গড়ে তুলেন নানা গ্রুপ। আর এইসব গ্রুপ বিস্তার লাভ করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে। এমন কি দেশ ছাড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডাল-পালা ছড়ায় এই গ্রুপকেন্দ্রিক ব্যবসা।

এই অনলাইনকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই যেহেতু নারী ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তা, তাই গৃহস্থালী কাজের নিত্যপণ্যই বেশি প্রাধান্য পায় এই ব্যবসায়। ফলে হরেক রকম মশলা থেকে শুরু করে, খাদ্যদ্রব্য, প্রসাধনী সামগ্রী, কাপড় এমন কি মাটির তৈজসপত্র পর্যন্ত বেচা-কেনা হয় এখানে। আর এই ব্যবসার মাধ্যমে অনেকেই নিজেরা যেমন হয়েছেন লাখপতি, তেমনি এই কর্মহীন সময়ে তৈরি করেছেন বহুজনের কর্মের সংস্থানও।

ভৈরবের সফল নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শহরের ভৈরবপুর মধ্যপাড়া এলাকার মেহবুবা ফেরদৌস মিথিলা। তিনি অনলাইনে মিথিলা হোসাইন নামে পরিচিত। তাঁর ব্যবসায়ী প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ফেসবুক পেজের নাম ‘আহারিকা’। তিনি ইতোমধ্যে উই (উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম) ডাবল লাখপতি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ তাঁর মাসিক বিক্রি এখন দুই লাখ টাকা। এ ছাড়াও অফলাইনে তিনি আরও লাখ টাকার ওপরে পণ্য বিক্রি করেন।

নিজের বিষয়ে বলতে গিয়ে মিথিলা বলেন, “আমি মাস্টার্স পরীক্ষার্থী। হঠাৎ করোনার কারণে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। লকডাউনের কারণে বাইরেও বের হওয়া যাচ্ছিল না। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করব, এমনই প্রত্যাশা ছিল। ব্যবসার কথা ভাবিনি কোনো দিন। কিন্তু অবসর গৃহবন্দির সময় কী করা যায় ভাবতে ভাবতে এই অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। ২০২০ সালের ৯ জুন থেকে ‘আহারিকা’ পেজটি খুলে ব্যবসা শুরু করি। হোম মেইড ফুড নিয়ে কাজ শুরু করি আমি। আমার পেজ এবং ফেসবুকের উই গ্রুপের মাধ্যমে আমি আমার হাতে বানানো খাবারগুলো অনলাইনে প্রদর্শন করি এবং সেখান থেকেই অর্ডার আসতে থাকে।”

‘তারপর পেজে যোগ করি পাবনার খাটি গাওয়া ঘি, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু, সিলেটের স্পেশাল ক্লোন টি কোয়ালিটির প্রিমিয়াম চা পাতা, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির গ্রিন টি, হোম মেইড বেবি সেরেলাক, হোম মেইড স্পেশাল রাইস সুজি, হোম মেইড মিক্সড বাদাম গুড়ো। এই পণ্যগুলো তৈরির পর সম্পূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মান যাচাই করে এবং পরিচ্ছন্ন প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি।’

আহারিকার পণ্য যাচ্ছে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, পাবনা, মৌলভীবাজার, ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ভোলা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, বগুড়া, মাগুরা, নাটোর, রংপুর, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, টাঙ্গাইলসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলায়। দেশ ছাড়িয়ে আহারিকার পণ্য যাচ্ছে সুদূর বিদেশেও। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, হংকং, সৌদি আরবে পণ্য যাচ্ছে বাংলাদেশি স্বজনদের মাধ্যমে।

মিথিলা বলেন, আহারিকার পেজের পণ্য অনলাইনে খুচরা ও পাইকারি দুইভাবেই বিক্রি করা হয়। শুধু অনলাইন নয়, আমার আশেপাশের পরিচিত মানুষজন থেকে শুরু করে আত্মীয়, কলেজের শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব প্রায় অনেকেই আমার পেজের ক্রেতা হয়েছেন। পরিবারের সমর্থন, কাজ করার আগ্রহ এবং ক্রেতার চাহিদা এই বিষয়গুলোর মাধ্যমেই আহারিকা পেজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই অনেকদূর। 

‘আহারিকা নামটি একটি ব্যান্ড হবে, এই স্বপ্ন দেখার আগে আমি চাই আহারিকা নামটি সবার মনে একটি বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করে নেবে। আহারিকার পণ্য হবে গুণে মানে অনন্য।’ যোগ করেন মিথিলা।

ভৈরবে অনলাইন ব্যবসায় সফল আরেকজন নারী উদ্যোক্তা হলেন শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণ এলাকার নাবিলা রহমান। যিনি ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সরকারি খেতাব ‘জয়িতা’ অর্জন করেছেন। করোনা মহামারির আগে তিনি মূলত একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াতেন। কিন্তু কোভিডের কারণে তাঁর স্কুল ও প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ হয়ে যায়। দুই মেয়ে শিশু নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। বাবার পরিবারও স্বচ্ছল নয়। ফলে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব বিপাকে পড়ে যান তিনি।

এ সময় তিনি ‘নাবিলা ক্রাফট অ্যান্ড ক্রিয়েশন’ নামে একটি পেজ খুলে নিজের তৈরি বিভিন্ন শো-পিস পণ্য বিক্রি শুরু করেন। কাপড়, ফ্লাইউড ইত্যাদি দিয়ে তৈরি চোখ ধাঁধানো বাহারি পণ্যে ব্যাপক সাড়া পান ক্রেতাদের। বর্তমানে তিনি তাঁর পণ্যের তালিকায় যোগ করেছেন প্রসাধনী সামগ্রী, নারীদের হ্যান্ডব্যাগ, বাহারি লেডিস জুতা, হিজাব, কোটি, মিক্সড ছাতু, চাষের মধু, তৈরি করা মাষ ডাল, গরুর ভূড়ি, আচারসহ নানা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।

নাবিলা রহমানের ভাষায়, ‘আমি একজন উদ্যোক্তা-এই পরিচয়টা আমি অনেক গর্ব ভরে, বুক ফুলিয়ে দিতে পছন্দ করি। তবে নাবিলা ক্রাফট অ্যান্ড ক্রিয়েশনকে দাঁড় করানোর লক্ষে এখনো ছুটে চলছি। আর সেটা আমার কাজ দিয়ে।’

‘এখন আমার লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের ভেতরে আমার পেজ নাবিলা ক্রাফট এন্ড ক্রিয়েশনকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য মানে একটি হস্তশিল্পের প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে, শো-রুম দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যেখানে থাকবে নানান ধরনের হাতের কাজ ও নারীদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।

আর আমার প্রতিষ্ঠানে যতগুলো নারীকর্মী থাকবে, আমি সেই সব নারীদের আমার মতোই প্রতিষ্ঠিত করতে সার্বিক সহযোগিতা করব। সমাজের অসহায় ও নির্যাতিত নারীরা হবে আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মী। এ ছাড়াও সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীরা যেন আমার প্রতিষ্ঠানকে তাদের আশ্রয় হিসেবে বেছে নেন, সেই প্রত্যয়ে কাজ করছি।’ যোগ করেন নাবিলা।

ভৈরবের অন্যতম সফল নারী উদ্যোক্তা হলেন শহরের কালিপুর মধ্য এলাকার ফারজানা আক্তার। তিনি তাঁর ‘মাটির বাহার’ পেজে কাজ করছেন বাংলার প্রায় বিলুপ্ত ঐতিহ্য মাটির তৈজসপত্র নিয়ে। ইতোমধ্যে তিনি উই’র লাখপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়াও অফলাইনে তাঁর মাটির পণ্য স্থানীয়ভাবে বেশ বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর স্বপ্ন ভৈরবে মাটির তৈজসপত্র তৈরির একটি কারখানা গড়ে তুলবেন। যেখানে হাজারো নারীর কর্ম হবে।

ফারজানা জানালেন তাঁর উদ্যোক্তা হওয়া এবং সফলতার গল্প, নিজের মুখে। “আমি ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশোনা করছি বিবিএ সেকেন্ড ইয়ারে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমি টিউশনি করতাম। টিউশনি থেকে মোটামুটি ভালো একটা অ্যামাউন্ট আসতো। হঠাৎ পৃথিবী অসুস্থ হয়ে পড়ে করোনায়। তখন সবকিছুই স্থগিত হয়ে যায়। স্কুল, কলেজ, পড়ানো। হয়ে পড়ি পুরোপুরি বেকার। তখন ফেসবুকের কল্যাণে জানতে পারি অনলাইনে অনেক আপুরা বিজনেস করছেন। আমার খুব ইন্টারেস্ট জাগে এ বিষয়ে। আমি অনলাইনে কিছু করতে চাই, এমন প্রস্তাবনা উত্থাপন করলে পরিবার থেকে ‘না’ বলা হয়। কারণ আমার অভিভাবকদের চোখে অনলাইন ব্যবসা ভালো ব্যবসা নয়। কিন্তু আমি থামার পাত্রী নই। বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হিসেবে নিয়ে একটা অবস্থানে পৌঁছে আমার পরিবারকে সারপ্রাইজ দেব বলে মনস্থির করি।

তখন আমি স্কিন কেয়ার কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আসি এবং আমার এক স্টুডেন্টের বাসায় রাখি। এখান থেকেই আমি প্যাকেজিং, ডেলিভারি, হিসাব-নিকাশ সব কাজ করতে থাকি। উদ্যোক্তা জীবনের দেড় মাস পার না হতেই ভালো একটা অবস্থান তৈরি হয়ে যায় আমার। দেখলাম ভালো সেল হচ্ছে, পরিচিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তখন পরিবারকে জানাই। তারা তখন খুবই খুশি হন। তখন আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আমাকে। পরিবারের সাপোর্টে আমাকে আরও উদ্যোগী করে তুলে।

এক সময় আমি উই’র সন্ধান পেয়ে তাতে যুক্ত হই। সেখানে দেখতে পাই দেশীয় পণ্যের একটা প্লাটফর্ম, এতো সুশৃঙ্খল একটা পরিবেশ, এই গ্রুপটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। নারীদের দক্ষ উদ্যোক্তা করতে ওয়ার্কশপ, মাস্টারক্লাস এসব করে থাকেন উইর উদ্যোক্তারা। তখন আমার মনে হয় দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করাই লাগবে। মাটির পণ্য আমার বরাবরের মতোই খুব পছন্দের ছিল। তখন সিদ্ধান্ত নেই মাটির পণ্য নিয়েই কাজ করব। পরিবারকে জানাই। আমি ভালো একটা সোর্স খুঁজে পাই, যেখানে মাটির পণ্য তৈরি হয়।”

বর্তমানে ফারজানার ‘মাটির বাহার’ পণ্য যাচ্ছে সিরাজগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, লালমনিরহাট, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায়। এমনকি দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও মাটির পণ্য যাচ্ছে।

অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ভৈরবের নারীরাও বেশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এখন কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে মার্কেট বা দোকান নয়, খোঁজ করেন ফেসবুক পেজের কোনো নারী অনলাইন ব্যবসায়ীকে। আর অর্ডার দেওয়া মাত্রই নিজে অথবা ডেলিভারিম্যান কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি নিয়ে হাজির হয় বাসায়। এতে করে এই করোনাকালীন ঘর থেকে বের হওয়াসহ নানা ঝুট-ঝামেলা থেকে বেঁচে যাওয়ায় খুশি তারা। এমনটিই জানালেন স্থানীয় ক্রেতা নাসিমা মনসুর কাকলি ও রোমেনা শোভা।

এদিকে নারী উদ্যোক্তারা মিলে ভৈরবে গড়ে তুলেছেন সিস্টারহুড নামের একটি সামাজিক সংগঠন। যার সভাপতি আরেকজন সফল নারী উদ্যোক্তা হালিমা তূজ স্নিগ্ধা। তিনি জানান, তারা নিজেদের রোজগার থেকে কিছু টাকা চাঁদা হিসেবে দিয়ে করছেন সামাজিক সেবামূলক বিভিন্ন কাজ। ইতোমধ্যে তারা একটি নারী সমাবেশ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে। করেছেন বৃক্ষরোপণ, গরিব ও হত-দরিদ্রদের মধ্যে ইফতার ও ঈদের নতুন পোশাক বিতরণ কর্মসূচি, একজন অসহায় বৃদ্ধ নারীকে তৈরি করে দিয়েছেন একটি টিনের ঘর। এই সংগঠনটিকে সমাজের অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল হিসেবে দাঁড় করাতে চান বলে জানালেন তিনি।

ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা অনলাইন নারী ব্যবসায়ীদের প্রশংসা করে বলেন, তাদের উৎপাদিত ও বিক্রি করা পণ্য খুবই ভালো। তারা এই ব্যবসার মাধ্যমে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি এই মহামারিকালীন দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখাসহ বহু কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। তিনি তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ ঋণের ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও জানালেন।