ক্রেতার মনে স্বস্তি, কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

Looks like you've blocked notifications!

কিছুদিন ধরে বাড়ার পর হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, টিকাটুলী, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মিরপুর, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা করে কমেছে। এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন মসলার দামও কমেছে।

সরেজমিনের দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে এলাচ, রসুন, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, আমদানি করা আদা, হলুদ ও জিরার দাম কমেছে।

রামপুরা বাজারের বিক্রেতা আলিম বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, যা গতকাল শুক্রবার ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এ হিসাবে একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।

যাত্রাবাড়ীর খুচরা ব্যবসায়ী সুমন বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম অনেক দিন ধরেই চড়া ছিল। সাধারণত শুক্রবার বন্ধের দিন থাকার কারণে মুরগির দাম একটু বেশি থাকে। গতকাল ১৭০ টাকা কেজি ব্রয়লার বিক্রি করেছি। আজ ১৬০ টাকা বিক্রি করছি।

কারওয়ান বাজারের ক্রেতা হাবিব বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে প্রতিটি জিনিসের দাম অত্যধিক বেড়েছে। কিন্তু এখন এসে দেখছি ব্রয়লার মুরগিসহ বিভিন্ন মসলার দাম কমেছে। এতে স্বস্তি মনে হচ্ছে।

ওই ক্রেতা আরো বলেন, সরকার যদি আরো আন্তরিক হয়, তাহলে বাজারে পণ্যের দাম আরো কমবে। এতে সাধারণ জনগণ ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোকের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসবে।

কারওয়ান বাজারের মসলা ব্যবসায়ী নিয়াজ বলেন, এক সপ্তাহে এলাচের দাম ৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, দেশি রসুন ৫ শতাংশ, আমদানি করা রসুন ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, লুজ সয়াবিন তেল ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, দেশি পেঁয়াজ ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সরু চাল দশমিক ৮৫ শতাংশ, আমদানি করা আদা ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, হলুদ ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং জিরার ১২ শতাংশ দাম কমেছে।

এদিকে, অন্য সব পণ্যের দাম কমলেও দেশি আদার দাম ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ হারে বেড়েছে বলে তিনি জানান।