চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ওএমএসের কলেবর বৃদ্ধি

Looks like you've blocked notifications!

বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ওএমএসের আওতা বাড়িয়েছে সরকার। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ওএমএসের আওতায় ঢাকা মহানগরে ভ্রাম্যমাণ চারটি ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাকপ্রতি দৈনিক আরো তিন মেট্রিক টন করে ১২ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করছে খাদ্য অধিদপ্তর।

ওএমএস খাতে ঢাকা মহানগরে এ, বি ও সি ক্যাটাগরি ভিত্তিতে ১২৪টি বিক্রয়কেন্দ্রে দৈনিক এক থেকে দেড় মেট্রিক টন আটা ও এক মেট্রিক টন চাল বিক্রি হয়ে আসছে। একই সঙ্গে শ্রমঘন চারটি জেলা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরে মোট ১৪৭টি কেন্দ্রে দৈনিক দুই মেট্রিক টন করে আটা ও এক মেট্রিক টন করে চাল বিক্রি হয়ে আসছে। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা শহরে মোট ৪৩২টি বিক্রয় কেন্দ্রে দৈনিক এক মেট্রিক টন করে চাল ও এক মেট্রিক টন করে আটা বিক্রি হয়ে আসছে।

এ ছাড়া ইনোভেশন কার্যক্রমের আওতায় সচিবালয় প্রাঙ্গণে দৈনিক দুই মেট্রিক টন এবং মতিঝিল ও আজিমপুর এলাকায় দৈনিক কেন্দ্রপ্রতি এক মোট্রিক টন করে প্যাকেট আটা বিক্রি করা হচ্ছে।

আজ বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ভারত থেকে মোট  এক লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোমরা, দর্শনা, বেনাপোল, সোনামসজিদ, হিলি, বুড়িমারি, বাংলাবান্ধা, শেওলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বেসরকারিভাবে মোট ৫৬ হাজার ৩৯১ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

এ ছাড়া সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির আওতায় ৫৫ হাজার ১২৯ মেট্রিকটন টন চাল দেশে পৌঁছেছে। সর্বমোট এক লাখ ১১ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন চাল দেশে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।