ডজনে ডিমের দাম বাড়ল ৩০-৩৫ টাকা

Looks like you've blocked notifications!
ফোকাস বাংলার ফাইল ছবি

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে প্রতি ডজন ডিমের দাম ৩০-৩৫ টাকা বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে মানের ওপর নির্ভর করে এক ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। কিছু কিছু জায়গায় প্রতি ডজন ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সুপার শপে একই ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে, হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৮০ টাকায় এবং দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১০৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম হালিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। 

ভোক্তা বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সব ধরনের ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছে।

টিসিবির বাজার মনিটরিং সেল জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুর তুলনায় জানুয়ারিতে এখন পর্যন্ত প্রতি হালি ডিমের দাম ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

বাংলাদেশ ডিম উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাধারণত শীতকালে ডিমের চাহিদা বাড়ে অথচ উৎপাদন স্থবির হয়ে পড়ে। মহামারির কারণে লকডাউনের সময় অনেক খামার তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। এখনও উৎপাদনের উচ্চ খরচ এবং ডিমের কম দামের কারণে বন্ধ রয়েছে। ফিডের দামের উচ্চ বৃদ্ধির মধ্যে দেড় বছরে উৎপাদন খরচ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য পণ্যের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে বাংলাদেশের ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন। ফার্মের ডিম, ব্রয়লার মুরগি এবং চাষকৃত মাছ দেশের লাখো দরিদ্র মানুষের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস। এ জাতীয় সমস্ত পণ্যের দাম বেড়েছে, যা একটি বিশাল জনসংখ্যাকে তাদের প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ কমাতে বাধ্য করেছে।’