নিরাপদ লেনদেনে গ্রাহকের ভরসা বিকাশ পেমেন্ট
‘আমি বেশিরভাগ সময়ে অনলাইন পেমেন্ট বিকাশ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ, বারবার কার্ডের তথ্য টাইপ করাটা বেশ ঝামেলার। বিকাশ পেমেন্টের জন্য নিজের ফোন নম্বরটা মনে রাখলেই হয়, বাকিটা ওটিপি আর পিন দিলেই হয়ে যায়। আর স্কুলে যাতায়াতের জন্য উবার, পাঠাও এবং ওভাই অ্যাপগুলো নিয়মিত ব্যবহার করি। এই সবগুলো অ্যাপেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর সেভ করে শুধু পিন নম্বর দিয়েই পেমেন্ট করা যায়।’ দৈনন্দিন চলাফেরায় ডিজিটাল পেমেন্ট প্রসঙ্গে বলছিলেন রাজধানীর একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক ইশতিয়াক আহমেদ।
বেসরকারি চাকরিজীবী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এলাকার দোকান ও সুপারস্টোরগুলোতেও এখন আমি ডিজিটাল পেমেন্ট করি বিকাশে। দেখা যায়, অনেক সময় বাসা থেকে কাঁচাবাজার করতে বেরিয়ে ভাংতি টাকা শেষ। তখন বিকাশ পেমেন্টই ভরসা। খুচরা টাকা রাখার ঝামেলা নেই।’
বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করার আর কোনো কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে দুজনই বলেন আস্থার কথা। ‘বিকাশ পেমেন্ট নিরাপদ ও নির্ঝঞ্ঝাট মনে হয়। লেনদেন করতে গিয়ে কখনোই আটকে যেতে হয়নি। আর যেকোনো সময় খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপ থেকে দেখা যায় কতো টাকা পেমেন্ট করলাম আর কতো টাকা আছে’, বলেন ইশতিয়াক আহমেদ।
এই দুজনের মতো দেশের অনেকেরই এখন অনলাইনে বা অফলাইনে পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে প্রথম পছন্দ বিকাশ পেমেন্ট। শুধু কেনাকাটার পেমেন্টই নয়, সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, অফলাইন বা অনলাইনে পণ্য কিনে পেমেন্ট করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দেওয়া, স্কুল কলেজের বেতন পরিশোধ করা, বাস-ট্রেন-বিমান-লঞ্চ ও মুভি টিকেট ক্রয় করা, বিভিন্ন ধরনের অনলাইন নিবন্ধনের ফি পরিশোধ করা, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ, ক্যাশ আউটসহ অসংখ্য সেবা খুব সহজেই নিতে পারছেন গ্রাহকেরা। করোনার সময়ে ঘুরতে যাওয়ার সময় টিকেট ও হোটেল বুকিংয়ের পেমেন্টও হচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে। তবে এ তো গেল গ্রাহকদের বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহার করে লাইফ সিম্পল করার গল্প। এ ছাড়াও গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষার ব্যাপারেও বিকাশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার প্রমাণ রেখেছে।
সম্প্রতি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত করায় ‘পেমেন্ট কার্ড ইন্ডাস্ট্রি ডেটা সিকিউরিটি স্ট্যান্ডার্ডস (পিসিআই ডিএসএস) – ভার্সন ৩.২.১’ সনদ অর্জন করেছে বিকাশ। পিসিআই ডিএসএস-এর নীতিমালা অনুযায়ী শক্তিশালী সিস্টেম, উন্নত নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি ব্যবস্থা, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশে মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ-ই প্রথম এই আন্তর্জাতিক সনদ অর্জন করলো।
এ প্রসঙ্গে বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব.) শেখ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের খুব কম প্রতিষ্ঠানই পিসিআই ডিএসএস সনদপ্রাপ্ত। তবে গ্রাহকদের তথ্য অধিকার সুরক্ষার জন্য পেমেন্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এ ধরনের সনদ থাকার অপরিহার্যতা রয়েছে। গ্রাহকদের তথ্যের সুরক্ষা, নিরাপদ আর্থিক সেবা নিশ্চিত করা এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা মেনে চলার মাধ্যমে বিকাশ সব সময় সর্বোচ্চ মানের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টাই বিকাশকে পিসিআই ডিএসএস সনদ অর্জনের সফলতা এনে দিয়েছে যা আমাদের গ্রাহক ও অংশীদারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে আরও মজবুত করবে।’
অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তা ও একই সঙ্গে কার্ডের লেনদেন বেড়ে যাওয়ায় কার্ড ইস্যুকারী, ব্যবহারকারী এবং পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বাড়তি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পিসিআই ডিএসএস নীতিমালা তৈরি করা হয়েছিল। এই নীতিমালার উদ্দেশ্য হলো বিভিন্ন মার্চেন্ট এবং পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনের সময় গ্রাহকদের কার্ড ডেটা যেন সুরক্ষিত করা যায়। পিসিআই ডিএসএস-এর এই সনদ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রহণযোগ্যতার একটি স্বীকৃতি যারা কার্ডের ডেটা গ্রহণ, সংরক্ষণ কিংবা স্থানান্তর নিয়ে কাজ করে। সেরা প্রযুক্তি, গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা এবং ‘প্রসেস পলিসি কমপ্লায়েন্স’ থাকার কারণে বিকাশ-এর জন্য এই সনদ অর্জন করা সহজ হয়েছে।