বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ইতালির টেডি গ্রুপের
ইতালিয়ান ফ্যাশন কোম্পানি টেডি গ্রুপ করোনাভাইরাসের মহামারির সময় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। সম্প্রতি রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা এ প্রতিশ্রুতি দেয়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই মহামারির সময়ে কোনো কার্যাদেশ স্থগিত বা বাতিল করা হয়নি বলেও টেডি গ্রুপের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়। তা ছাড়া বিদ্যমান কাজের পরিবেশ বজায় থাকলে তাদের কার্যাদেশ অব্যাহত থাকবে বলেও তারা আশ্বাস প্রদান করে। এ মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে একটি বড় অঙ্কের কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে বলে দূতাবাসকে অবহিত করেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। তবে বিশ্বব্যাপী সার্বিক চাহিদা হ্রাস পাওয়ার ফলে আগের বছরের একই মৌসুমের তুলনায় ওই কার্যাদেশের পরিমাণ কিছুটা কম হতে পারে বলে জানান তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে আগামী তিন অথবা চার মাস পর কার্যাদেশের পরিমাণ আগের পর্যায়ে ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
এ ধরনের দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব অন্যদের জন্য একটি আদর্শ উদাহরণ স্থাপন করেছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ দূতাবাস টেডি গ্রুপকে ধন্যবাদ জানায়। দূতাবাস যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানায় কোম্পানিকে।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত টেডি গ্রুপ বর্তমানে ইতালির অন্যতম শীর্ষ ফ্যাশন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। টেরানোভা, কালিলোপ, রিনাসিমিনিটোসহ তাদের ছয়টি ব্র্যান্ড রয়েছে এবং বিশ্বের ৪০টি দেশে তাদের ছয় শতাধিক স্টোর রয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে টেডির শীর্ষ ব্যবসা কেন্দ্র। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাকজাত পণ্য আমদানি করে কোম্পানিটি। তারা ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করে, যেখানে বর্তমানে দুজন ইতালিয়ান নাগরিকসহ ৮০ জন কর্মরত আছেন।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসজনিত সৃষ্ট পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকজাত পণ্য আমদানির সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে এবং দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ দূতাবাস ১০ শীর্ষ ইতালিয়ান কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।