বেড়েছে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম

Looks like you've blocked notifications!

ভোজ্যতেলের দামবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও লিটারে পাঁচ টাকা দাম বেড়েছে সব ধরনের বোতলজাত সয়াবিন তেলের। ঈদকে সামনে রেখে নতুন করে চিনির দামও কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে বাজারে ঢুকছে নতুন চাল। তাই আটাশ, স্বর্ণাসহ কিছু চালের দাম কিছুটা কমেছে।

বাসাবাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন রোখসানা। করোনা পরিস্থিতিতে এখন সব কাজই হারিয়েছেন তিনি। চড়া বাজারে টেনেটুনে সংসার চালনোর কষ্টটা তাঁর চেয়ে আর কে ভালো বুঝবে।

রোখসানা বলেন, ‘একলা বেডার কামাই, রোজি নাই, রোজগার নাই। নিজে কিছু করতে পারি না। চলতে পারতেছি না। বিশ্বরোড থেকে এখানে আসছি কিছু কমের লাইগা। এই জায়গায় আইসা দেখি হেই দামঅই। কি করব আমরা।’

ভোজ্যতেলের দাম আবারও বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়াসহ কোনো উদ্যোগই যেন কাজে আসছে না।

একজন ভুষিমাল বিক্রতা বলেন, ‘রূপচাঁদা, তীর, বসুন্ধরা, ফ্রেস প্রত্যেকটা কোম্পানি লিটারে পাঁচ টাকা করে বাড়াইছে। তারপর চিনির বস্তাতে বেড়েছে এক সপ্তাহে পঞ্চাশ টাকা।’

বাজারে এখন ভোক্তাদের স্বস্তির জায়গা সবজির বাজার। কারণ সবজির সরবরাহ যেমন পর্যপ্ত, তেমনি দামও স্থীতিশীল।

বাজারে নতুন চাল আসায় দীর্ঘদিন পরে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। সামনের দিনে চালের দাম আরও কমবে বলেই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বাজারে একজন পাইকারি চাল বিক্রেতা বলেন, ‘আটাশ চাল যেটা আমরা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি করতাম। সেটা এখন ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

আরেক ব্রিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের নতুন ফসল আসতেছে। কৃষকরাও মোটামুটি খুশি। আমরা আশাবাদী চালের দাম কমবে।’

এ ছাড়া মুরগির চড়া দাম অনেকটাই কমে এসেছে। ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায় আর পাকিস্তনি বা সোনালির কেজি এখন ২৬০ টাকা।