বেড়ে চলছে নিত্যপণ্যের দাম

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর কাঁচাবাজারে সব ধরনের শাক-সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে ডিম-আলু ও কাঁচা মরিচের। ছবি : মোহাম্মদ ইব্রাহিম

দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও প্রয়োজনের তাগিদে মানুষের চলাচল ও জীবনযাত্রা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে এ অবস্থায় বেড়ে চলছে নিত্যপণ্যের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দামই বাড়তির দিকে। কাঁচাবাজারেও শাকসবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ শুক্রবার বাজারে পণ্যের সরবরাহ প্রচুর। পাশাপাশি ক্রেতাদের সমাগমও দেখা গেছে। ক্রেতারা বলছেন, প্রতিটি পণ্যের দামই বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে, বিক্রেতারা জানালেন, পাইকারি আড়ত থেকে বেশি দামে পণ্য কিনে আনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হয়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম কেজিপ্রতি তিন থেকে চার টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণজাতের চাল ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগে যা ছিল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। মিনিকেট ও নাজিরশাইল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৬৪ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

মানভেদে প্যাকেটজাত আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৮ টাকায়। প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা কেজিতে।

ভোজ্য তেলের দামও লিটারে পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১০৫ টাকা। খোলা সয়াবিন লিটারে তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৬ টাকায়। লিটারে পাঁচ টাকা বেড়ে পাম অয়েল (খোলা) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৩ টাকায়।

বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দামও। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। কিছুদিন আগেও এ পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৮ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৫৫ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ৩০ থেকে ৩৪ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকায়।

দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকায়।

গরমেও এ বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে দামও বেশ চড়া।

শীতের আগাম সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, এখন সব ধরনের সবজির দামই একটু বেশি। বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই।

তবে এর মধ্যেও ৩০ টাকা দিয়ে ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে, এটি ক্রেতাদের জন্য সুখবরই। গত বছর এ সময়ে নতুন অবস্থায় শিমের কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন কেজিপ্রতি ১৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর নতুন অবস্থায় বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। এখন ৩০ টাকায় একটি ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে। আর কিছুদিন গেলে এবং সরবরাহ বাড়লে এসব সবজির দাম আরো কমে যাবে। সেইসঙ্গে অন্যান্য সবজির দামও কমবে। এমনটিই আশা করেন ক্রেতারা।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকা  টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় এবং লাউ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

মারুফ আহমেদ নামের এক ক্রেতা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দামের কারণে সবজি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি। মাঝেমধ্যে অল্প পরিমাণ সবজি কিনতে হয়। তারপরও দেখা যায়, ১০০ টাকার সবজি কিনলে একদিনও চলে না।