হিলিতে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা

Looks like you've blocked notifications!
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে আমদানিকৃত পেঁয়াজ। ছবি : এনটিভি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৩ টাকা। এসব পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার উপরে। একদিনের ব্যবধানে হঠাৎ করেই এমনভাবে বেড়েছে বাজারদর। ফলে হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার।

বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, ভারতে আসন্ন দুর্গাপূজা, অতিবৃষ্টি ও গরমের কারণে পেঁয়াজের ফলন নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে আমদানি কম হওয়ায় বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সিংহভাগ পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। আর এই পেঁয়াজ দিয়েই দেশের অধিকাংশ এলাকার চাহিদা পূরণ হয়। কিন্তু গেল কয়েকদিনে পেঁয়াজের দামের ছন্দপতনে খানিকটা বেসামাল হয়ে উঠেছে ভোক্তারা।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল শনিবার ভারতের বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। আর একদিনের ব্যবধানে আজ রোববার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। ফলে কেজিতে ১০ থেকে ১৩ টাকা করে বেড়েছে। এতে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বেশি দামে কিনছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদেরও।

বন্দরের আমদানিকারকের প্রতিনিধি রাশেদ জানান, আমদানিকারকরা প্রতিদিন গড়ে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে দেড় হাজার মেট্রিক টন। তবে বর্তমানে তা কমে আমদানি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ মেট্রিক টন। কারণ ভারতে অতিবৃষ্টি ও গরমের কারণে পেঁয়াজের ফলন নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে সেখানে সংকট দেখা দেওয়ায় দাম অনেকটা বেড়েছে। ফলে দেশে আমদানি কম হচ্ছে। তাই বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আবার আসন্ন দুর্গাপূজায় বন্দর বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকবে। ফলে দেশে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকলে আরও দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাহিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ময়নুল বলেন, গতকাল শনিবার ৪০ টাকা কেজিতে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। আজ সেই পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি করছি। যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে আগামীকাল ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হতে পারে। পূজার জন্য পোর্ট বন্ধ থাকলে দাম আরও বাড়বে।

বাংলাহিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিরুল ইসলাম ও নজিব উদ্দীন বলেন, প্রতিবছর পেঁয়াজের দাম নিয়ে খেলা হয়। যার প্রভাব পড়ে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের ওপর। কিনতে আসে এক কেজি, কিনে নিয়ে যায় আধাকেজি। তাই সরকারের বাজার মনিটরিং করা দরকার।