১০ দিনের ছুটির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

Looks like you've blocked notifications!
গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় হা-মীম গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মুহূর্ত। ছবি : এনটিভি

গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় ঈদে ১০ দিনের ছুটির দাবিতে হা-মীম গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। পরে এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

টঙ্গীর হা-মীম গ্রুপের পোশাক শ্রমিক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকারিভাবে ঘোষিত তিন দিনের ছুটির পরিবর্তে শ্রমিকরা ১০ দিনের ছুটি দাবি করে। কর্তৃপক্ষ সাত দিনের ছুটি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা আজ সকালে ১০ দিনের ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আমাদের ওপর হামলা ও গুলি চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তাদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল জোন-২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জালাল উদ্দিন জানান, টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় হা-মীম গ্রুপের পোশাক শ্রমিকরা আজ সকালে ১০ দিনের ছুটির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে তারা কারখানায় ভাঙচুর করে পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ তাদের সরাতে গেলে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ সময় প্রায় ২০ মিনিটের মতো ওই মহাসড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রায় আধা ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্-আলম জানান, ওই সংঘর্ষের সময় শ্রমিকরা আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়লে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে জীবন রক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। তাদের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মাসুদ রানা জানান, শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত তাঁর হাসপাতালে ২৩ জন চিকিৎসার জন্য এসেছে। এর মধ্যে ১৫ জনের গায়ে রাবার বুটেলের স্প্লিন্টার থাকায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিল্প পুলিশের কনস্টেবল মো. রুবেলের মাথায় আঘাত থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।