১৫-২০ দিনের মধ্যে কমবে চালের দাম, জানালেন ব্যবসায়ীরা
নতুন ধানের মৌসুমের আগেই বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখনো কমেনি উল্লেখ করে চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চালের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা চালের বাজার পরিদর্শনে গেলে ব্যবসায়ীরা এ কথা জানান। এ ছাড়া চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে কোনো কারণ নেই বলেও জানান তাঁরা।
এর আগে পেঁয়াজের বাজারে অগ্নিমূল্যের মধ্যেই হঠাৎ করে চালের দাম কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় টাকা বেড়ে যায়। সে বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলেও চালের মূল্য আর আগের জায়গায় আসেনি। পাঁচ থেকে ছয় টাকা বাড়ার পর কেজিপ্রতি কমেছে মাত্র এক টাকা।
এ অবস্থায় খাদ্য মন্ত্রণালয় গঠিত চালের বাজার মনিটরিংয়ের তিনটি কমিটি রাজধানীর প্রধান তিন চালের বাজার পর্যবেক্ষণে বের হয়। আজ সকালে কারওয়ানবাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও বাবুবাজার পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। চাল ব্যবসায়ীরা এ সময় চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য চালকল মালিকদের দায়ী করেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, অধিকাংশ মানুষ নাজিরশাইল চাল খায়। নাজিরশাইল চালের মোটামুটি দাম আছে, তেমন প্রভাব পড়েনি। দাম বেড়েছে মোটা চাল, ২৮ ও মিনিকেটের। তাঁরা আশাবাদী, চালের দাম শিগগিরই কমে যাবে।
চালের বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, শুধু রাজধানী নয়, ইউনিয়ন পর্যন্ত চালের বাজার মনিটরিং করছেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারের কাছে চালের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে এবং খুব শিগগিরই নতুন চাল বাজারে চলে আসবে বলেও মনে করছেন তাঁরা।
খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘সরকারের কাছে চালের যথেষ্ট মজুদ আছে। যেহেতু দেশে প্রচুর ধান-চালের মজুদ রয়েছে, সেহেতু সরকার আমদানি বন্ধ রেখেছে। যদি বাজার দর স্থিতিশীল থাকে, তাহলে আমাদের যে মজুদ আছে, এটি দিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের খাদ্য বিভাগের গুদামে ১০ লাখ ৬৬ হাজার টন চালের মজুদ আছে এবং নতুন করে ধান কেনা শুরু হয়েছে।’
ভোক্তাদের কম দামে চাল সরবরাহের পাশাপাশি কৃষকরাও যেন ধানের ন্যায্য দাম পান, সে জন্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।