নিজস্ব অর্থায়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে ব্র্যাক

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য : ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ব্র্যাক। ছবি : ব্র্যাক

দাতাদের আর্থিক সহায়তা কমতে শুরু করায় আগামী দিনে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। এরই অংশ হিসেবে ফান্ড নির্ভরতা কমিয়ে আগামী ২০২০ সাল নাগাদ ব্র্যাক ৯০ শতাংশ নিজস্ব  অর্থায়নে সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে।

আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য : ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ব্র্যাক।

ব্র্যাকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল বায়েস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ব্র্যাকের স্ট্রাটেজি, কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড ইমপাওয়ারমেন্ট কর্মসূচির ঊর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহ, অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেইঞ্জের পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক আব্দুল বায়েস বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় ১৭ টি লক্ষ্য অর্জনের কথা উল্লেখ থাকলেও এরমধ্যে বাংলাদেশের বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের কয়েকটি বিষয় বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এর মধ্যে আছে মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে আনা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, পুষ্টিহীনতা, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, নগরায়ন ইত্যাদি। সরকারের যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা আছে তাতেও এই বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।  সে আঙ্গিকে ব্র্যাক আগামীতে নতুন কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেছে।’

নিজস্ব অর্থায়নের উপর গুরুত্ব তুলে ধরে আসিফ সালেহ বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে দাতাদের অর্থায়ন যে মাত্রায় ছিল, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে দাতাদের কাছ থেকে আগের মতো আর্থিক সহায়তা পাওয়া যাবে না। এটা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্র্যাক আগামী দিনে নতুন কর্মকৌশল হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। সে হিসেবে আমরা বর্তমানে ৭০ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে কর্মকাণ্ড পরিচালিত করলেও এটাকে বাড়িয়ে ২০২০ সাল নাগাদ ৯০ শতাংশে উন্নিত করতে চাই।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কে এ এম মোর্শেদ বলেন, ‘একটি জবাবদিহিমূলক সংস্থা হিসেবে আমরা নিয়মিত কর পরিশোধ করে আসছি। হাইকোর্ট জনহিতকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদেরকে কর পরিশোধের দায় থেকে অব্যাহতি দেয়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হলে তা আমাদের বিপক্ষে যায়। এখন আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমকাল পত্রিকার বিজনেস এডিটর জাকির হোসেন, কালের কণ্ঠের বিজনেস এডিটর মাসুদ রুমী, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ ডটকমের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর আব্দুর রহিম হারমাছি, এস এটিভির বিজনেস এডিটর সালাউদ্দিন বাবলুসহ দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।