১৭ পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহারে ফের অভিযান
১৭ পণ্যে পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে ১৫ মে থেকে আবারও বিশেষ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
আজ রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সারা দেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে। তিনি বলেন, এবারের মোবাই কোর্ট পরিচালনায় আইনের নির্দেশনাগুলো প্রয়োগ করা হবে। পাটের বস্তা ছাড়া এসব পণ্যে অন্য কোনো বস্তুর ব্যবহার পাওয়া গেলে কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংক ঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিল করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ওই ১৭ পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে (ডিসি) এই আইন সুষ্ঠু বাস্তবায়নে আগের মতো মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, পাটের বস্তা ব্যবহারের আইন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা হলে প্রতি বছর ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়বে, পাটচাষিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে ।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০-এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে সপ্তাহব্যাপী এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।