ছয় বছরে দেশে মাছ উৎপাদন বেড়েছে ৩১%
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেছেন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ এক হাজার টন। অর্থাৎ ছয় বছরে দেশে মাছ উৎপাদন বেড়েছে ৩১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বর্তমান মৎস্যবান্ধব সরকারের গৃহীত উন্নয়নমুখী বহুবিধ কার্যক্রম এবং চাহিদামাফিক সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের ফলে দেশের মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে।
মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, মৎস্য উৎপাদন বাড়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয় থেকে মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ এবং অভ্যন্তরীণ বদ্ধ জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে পঞ্চম স্থান লাভ করেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য সেক্টরের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনস্বীকার্য। মোট দেশজ উৎপাদনের ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, মোট কৃষিজ আয়ের ২২ দশমিক ৬ শতাংশ এবং রফতানি আয়ের ২ শতাংশের অধিক আসে মৎস্য উপখাত থেকে। দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ জোগান দেয় মাছ। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক কোটি ৭৭ লাখ বা ১১ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মৎস্য সেক্টরের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশের মৎস্যসম্পদের উৎপাদন ও প্রজনন বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মৎস্যসম্পদের উৎপাদন ও প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরবচ্ছিন্ন গবেষণা পরিচালনা করে আসছে। এরই মধ্যে ইনস্টিটিউট থেকে রুইজাতীয় মাছের নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা বর্তমান জাতের চেয়ে ১৬ শতাংশ অধিক উৎপাদনশীল। এ ছাড়া দেশীয় মাছের সহনশীল মাত্রায় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইনস্টিটিউট থেকে এসব মাছের চাষ ব্যবস্থাপনা ও প্রজননবিষয়ক ৪৯টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বাসস জানায়, রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী মাছের উৎপাদন ৪২ লাখ টনে উন্নীত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।