মোটা চালের দাম বেশি বেড়েছে : ক্যাব
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, কয়েক মাস ধরে মোটা চালসহ অন্যান্য চালের দাম বেড়েই চলেছে। চিকন চালের তুলনায় মোটা চালের দাম বেশি বেড়েছে।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ক্যাব আয়োজিত রমজানে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতসংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রহমান এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান আরো বলেন, বাজারে মোটা চালের বর্তমান দাম প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। দুই কোটির বেশি মানুষ তাদের আয়ের ৭০ শতাংশ চাল কিনতে খরচ করে। তিনি বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার প্রথমে বলেছে, বছর শেষ সে জন্য চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপর বলেছে হাওর এলাকায় বন্যা হয়েছে, চাল উৎপাদন এলাকায় রোগ-বালাই দেখা দিয়েছে; এতে কয়েক লাখ টন চাল নষ্ট হয়েছে, উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ বলেছে, সরকারি গুদামে তিন লাখ টনেরও কম চাল মজুদ আছে। সবকিছুকে পুঁজি করে মধ্যস্বত্বভোগী, মিলার, আড়তদার মিলে দাম দিন দিন বাড়িয়ে চলছে।
যদি অন্য কোনো উপায়ে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়, তাহলে চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ কমানোর চিন্তা করতে পরামর্শ দেন দুদকের সাবেক এই চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এখনই আমরা শুল্ক কমানোর কথা বলছি না। সরকারের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।’
গোলাম রহমান বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে কৃষিপণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে সব পণ্যেই এমন ভ্যাট আদায় না করতে পারেন, সে বিষয়ে সরকারকে নজরদারি করতে হবে।
ক্যাবের সভাপতি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে অনেক কারণ আছে। তবে তার মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে। ভোক্তাপর্যায়ে পণ্য মজুতকরণ। অনেকেই আছেন যারা এক মাসের পণ্য একদিনে কেনেন। এটা ঠিক না। এতে করে বাজারে দামের প্রভাব পরে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, রাজধানীর পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে পণ্যের দামের অনেক ব্যবধান। এ জন্য সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন।
গোলাম রহমান বলেন, ছোলা, চিনি, সয়াবিন তেলসহ কিছু নিত্যপণ্য গত বছরের চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের দাম কম হলেও দেশে কারসাজির কারণে দাম বাড়ছে।