নিয়মিত বাজারে লেনদেনে শাহজিবাজারকে অনুমতি দিল কমিশন
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি শাহজিবাজার পাওয়ারকে নিয়মিত বা মূল বাজারে লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ মঙ্গলবার বিএসইসির ৫৫১তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারকে স্পট মার্কেটে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা হতে অব্যাহতি দিয়ে নিয়মিত বাজারে লেনদেনের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজকের কমিশন। তবে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনে নন-মার্জিনেবল অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর শাহজিবাজার পাওয়ারকে স্পট মার্কেটে পাঠানো সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারকে নন-মার্জিনেবল ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়া, আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষে নিয়েছে বিএসইসি। ২০১৪ সালের ১১ আগস্টের পর প্রায় দুই মাস এ শেয়ারের লেনদেন অনিদির্ষ্টকালের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে স্থগিত ছিল।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, কোম্পানিটি তাদের অনুমোদিত মূলধন ১৭০ কোটি টাকা থেকে ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করবে। এ জন্য সংঘবিধির সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনবে। অনুমোদন পেতে ৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম)বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শাহজিবাজারের পরিচালনা পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে ৪৭ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইপিএস ৪ টাকা ১৩ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) ২৮ টাকা ১৭ পয়সা।
গত এক মাসে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৩৮ টাকা ৬০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ১৬৯ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজার দরের ভিত্তিতে এ শেয়ারের দাম-আয় অনুপাত ২০ দশমিক ১২।
বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা ও পরিোশধিত মূলধন ১৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বাজারে মোট শেয়ার ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৯০০টি; যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৭৫ দশমিক ৭১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।