তবু দেশে সোনার দাম ৭০০০ টাকা বেশি

Looks like you've blocked notifications!
ফাইল ছবি

বিশ্ববাজারের চেয়ে দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে (২২ ক্যারেট) সাত হাজার টাকা বেশি। আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে এক আউন্স (২.৪৩০৫ ভরি) সোনা ১০৮৪ মার্কিন ডলার বা ৮৪ হাজার ৩৯৫ টাকায় লেনদেন হয়েছে। সে হিসেবে এক ভরি সোনার দাম ৩৪ হাজার ৭২৩ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা বিক্রি হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫৭ টাকায়। 

এর আগে গত ২০ জুলাই আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৮৮ ডলার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জুলাই দেশের বাজারে সোনার ভরিতে এক হাজার ৫৪০ টাকা কমানো হয়। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে তার তেমন কোনো প্রভাব পড়ছে না। আজও ঢাকার বাজারে সোনা যে দরে বিক্রি হচ্ছে, সেই টাকাকে ডলারে রূপান্তরিত করলে প্রতি আউন্সের দর দাঁড়ায় এক হাজার ৩০১ ডলার। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বশেষ এক হাজার ৩০০ ডলারের ওপরে সোনা বিক্রি হয়েছে এক বছর আগে, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট। ওই দিন সোনার দাম ছিল এক হাজার ৩০৭ ডলার। এর আগে পরেও সোনার দাম বেশ কম থাকলেও বাংলাদেশে এখনকার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর চীনে সোনার মজুদ প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কমে যাবে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার বাড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সোনা বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে বর্তমানে সোনার দাম গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রয়েছে। 

বিশ্বের বৃহত্তম সোনার ভোক্তা দেশ চীন সম্প্রতি জানিয়েছে, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশটি ৫৭ শতাংশের বেশি সোনা মজুদ করতে পেরেছে। তবে বিশ্লেষকরা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিলেন, তার চেয়ে এই অঙ্ক অনেক কম। 

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জ্যানেট ইয়েলেন গত মাসে জানান, এ সংস্থা সুদের হার চলতি বছর বাড়াবে বলে কংগ্রেসকে নিশ্চিত করলে ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। এতে সোনার দাম কমতে শুরু করেছে।