অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব আদায়ের চ্যালেঞ্জ
মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বিশাল অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার। এ কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কাস্টমসে প্রযুক্তিগত সমস্যা, চট্টগ্রাম বন্দরের সীমাবদ্ধতা, স্থল বন্দরে নানা অনিয়ম ও কর আদায় ক্ষেত্রে শুভংকরের ফাঁকির অভিযোগ করেছেন স্টেকহোল্ডাররা। গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজস্ব সংলাপে উঠে আসে এসব কথা।
বন্দর নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত রাজস্ব সংলাপে জানানো হয়, গত অর্থ বছরে আদায় হওয়া মোট রাজস্বের প্রায় ২৯ শতাংশ দিয়েছে চট্টগ্রাম। মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করতে সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এনবিআরে নতুন করে গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে রাজস্ব সংলাপের উদ্যোগ বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান।
সংলাপে আংশগ্রহণকারী বিশেষ অতিথিরা সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি তুলে ধরেন রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রগুলোতে বিরাজমান পরিস্থিতর চিত্র।
রাজস্ব আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর অন্যতম প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস হাউস। এসব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রযুক্তিগত সমস্যা। বিরাজমান এই পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান কর আদায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কতটা সফল হবে সে প্রশ্ন রাখেন সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা।
চলতি বছর জাতীয় রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ চট্টগ্রাম থেকে আহরণ করা হবে বলে জানায় এনবিআর।
রাজস্ব সংলাপে অংশ নেন বিএসআরএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলী হুসেন আকবর আলী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. জাফর আলম, মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক মাহবুব চৌধুরী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু।