‘গ্রামীণফোন দেশের অন্যতম নারীবান্ধব কর্মস্থল’

Looks like you've blocked notifications!
বাম থেকে ইথিকস অ্যান্ড কমপ্লায়েনস বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ তোফায়েল আউয়াল,স্ট্র্যাটেজিক একাউন্ট ম্যানেজার আদিবা ফাহমি বর্ষা, জেনারেল ম্যানেজার জিনাত জহির, কো-অর্ডিনেটর ডেপুটি (সিইও অফিস) শারমিন আখতার, সিনিয়র স্পেশালিস্ট নাজরানা ইউসুফ, জেনারেল ম্যানেজার শায়লা রহমান এবং হেড অব রিটেইল অপারেশন্স অ্যান্ড গভর্নেন্স ফারজানা রহমান। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

‘গ্রামীণফোন দেশের অন্যতম নারীবান্ধব কর্মস্থল। একটি নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি যৌন হয়রানির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে এবং এ ধরনের বিষয় সমাধানে এর বলিষ্ঠ প্রক্রিয়া আছে।’

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘প্রতিবাদ সভা’য় এসব কথা বলেন দেশের বেসরকারি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের উইমেন ইন্সপিরেশন নেটওয়ার্কের (উইন) সদস্যরা।

গ্রামীণফোনের পাঠানো সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবাদসভায় উইনের সদস্যরা একটি পত্রিকা কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের (নারী কর্মী) ইমেজ নষ্ট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে তাঁদের কর্মস্থলের পবিত্রতা নষ্টের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে উৎণ্ঠা প্রকাশ করেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘একটি জাতীয় দৈনিক সম্প্রতি কোনো প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ করে যে গ্রামীণফোনে কর্মরত নারীরা নানা ভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন কিন্তু কোম্পানি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

বক্তারা বলেন, ‘এ সংক্রান্ত (যৌন হয়রানি) কোনো অভিযোগ আসলে তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সংবেদনশীলতার সাথে সমাধান করা হয়। কোম্পানি ও বাইরের নারী অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত নিরপেক্ষ কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা হয় এবং ঘটনার সত্যতা সাপেক্ষে দ্রুত উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে প্রতিটি হয়রানির অভিযোগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত উভয়ই তাদের অবস্থান প্রমাণের জন্য সমান সুযোগ পান।’

উইনের প্রতিনিধিরা দাবি করেন, ‘এ ধরনের ভিত্তিহীন রিপোর্ট শুধু কোম্পানির ইমেজ নষ্ট করে না বরং নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশকে বাধাগ্রস্তকরে। এটি শুধু তাদেরই সম্মানহানির প্রচেষ্টা নয় বরং দেশের সব কর্মজীবী নারীর জন্য অসম্মানজনক।’

উইনের সদস্যরা বলেন, ‘তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণফোনে কাজ করছেন, কিন্তু কখনো এমন পরিস্থিতির শিকার হননি যেখানে যৌন হয়রানি বা নারীর প্রতি অভদ্র ব্যবহারকে মেনে নেওয়া হয়।’