হিলিতে পেঁয়াজ বেশি আমদানি, কমছে পাইকারি দাম

Looks like you've blocked notifications!

দিনাজপুরের হিলিতে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হলেও সে অনুপাতে চাহিদা কম। এ ছাড়া ভারতে দাম কমছে। ফলে দেশের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে। গত দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ৮-১০ টাকা। আগে প্রকারভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬২-৬৫ টাকায়। হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা গত পাঁচদিন এই বন্দর দিয়ে প্রায় ১৭০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন।  

urgentPhoto

ভারতের হিলি কাস্টমস এক্সপোর্টার অ্যান্ড ক্লিয়ারিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অশোক কুমার মণ্ডল জানান, ‘সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হয়েছে। এতে সেখানে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। এক মাস আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতো ২৫-৩০ রুপিতে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ রুপিতে। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৩৩ হাজার ৫৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৪ হাজার ৯৯০ টাকা করে ভারত সরকার।’

বন্দরের কাস্টমস কার্যালয়, পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে উৎপাদনের মোট চাহিদার বেশির ভাগই পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। ফলে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের মাধ্যমে বাজার স্বাভাবিক রাখা হয়। এ কারণে ভারত থেকে বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি করছেন এই বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

বন্দরের কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাইফুর রহমান জানান, গত ২২-২৬ আগস্ট পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে প্রায় এক হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টন পেঁয়াজ এ বন্দর দিয়ে দেশে ঢুকছে। পেঁয়াজ আমদানিতে কোনো শুল্ককর নেই বলে জানান তিনি।

ব্যবসায়ী মো. মোবারক হোসেন বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় সেখানে কেজিতে কমেছে ১০ টাকার বেশি। এর প্রভাবে দেশের পাইকারি বাজারেও এর দাম পড়তে শুরু করেছে। দুদিন আগেও যে পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা কমে ৫০-৫২ টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমরা পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরো দাম কমবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলা হিলি বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম জানান, বাজারে পেঁয়াজের আমদানি বেশি। সেই তুলনায় ক্রেতা কম। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এখন ৫৩-৫৪ টাকায় পাইকারি দামে কিনে খুচরা ৫৫-৫৬ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

পেঁয়াজের বাজার ব্যবস্থা তদারকি করা গেলে দাম লাগালের মধ্যে থাকবে। আর তাহলে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারবে না বলে মনে করেন ভোক্তারা।