লেবাননে নজর কেড়েছে ওয়ালটন
স্থানীয় বাজারের মতো ইলেকট্রনিকস পণ্যের বিশ্ববাজারেও দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ। বিশ্ব ক্রেতাদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন। জয় করে নিচ্ছে ক্রেতাদের আস্থা। ফলে রপ্তানি বাজারে দ্রুত বাড়ছে বাংলাদেশি ওয়ালটন পণ্যের মার্কেট শেয়ার। এরই মধ্যে লেবাননে গিয়েছে বিপুল পরিমাণ ওয়ালটন ফ্রিজ।
ওয়ালটনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
জানা যায়, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে। এবার ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত বিশ্বের বাজারে পণ্য রপ্তানির বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়েছে ওয়ালটন। সে জন্য আধুনিক প্রযুক্তির গ্লোবাল মডেলের পণ্য উৎপাদন করছে তারা। উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ (কিউসি) বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি। ইলেকট্রনিকস খাতের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন। তৈরি করছে দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ।
ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রতিনিধিরা জানান, লেবাননে বিপুল পরিমাণ ফ্রিজ রপ্তানি করেছে ওয়ালটন। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ালটনের তৈরি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। ডিজাইন, মান ও অন্যান্য শর্তানুযায়ী ফ্রিজ তৈরি করে ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতির আওতায় রপ্তানি হচ্ছে এসব ফ্রিজ। দেশটিতে শিগগিরই ফ্রিজ রপ্তানির আরেকটি বড় অর্ডার মিলবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
ওয়ালটনের আইবিইউ বিভাগের প্রধান এডওয়ার্ড কিম বলেন, ‘ওয়ালটনের টার্গেট-১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে বিশ্ববাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে ওইএমের (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) মাধ্যমে বিজনেস ভলিউম বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যের লেবানন ও ইয়েমেনে ইতোমধ্যে বিশাল পরিমাণ ফ্রিজ রপ্তানি করা হয়েছে।’
ওয়ালটন পণ্যের লেটেস্ট প্রযুক্তি, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং প্রতিযোগী মূল্য সক্ষমতা—এসব বৈশিষ্ট্যই নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টি এবং বাজার সম্প্রসারণে বিশেষ নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে বলে জানান কিম।
ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, “প্রযুক্তি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের নামেও পণ্য তৈরি করে রপ্তানিতে মনোযোগ দিয়েছে। আগামী দিনের বাজারকে টার্গেট করে ওয়ালটন তৈরি করছে দীর্ঘমেয়াদি রোডম্যাপ। মোদ্দাকথা, ওয়ালটনের মেইন ফোকাস এখন বিশ্ববাজার।”
ইউরোপ ও আমেরিকা অঞ্চলে নিযুক্ত ওয়ালটন আইবিইউ শাখার প্রতিনিধি আবদুর রউফ জানান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তাইওয়ান, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্লোবাল আরএনডি সেন্টারের পাশাপাশি শাখা অফিস স্থাপন করছে ওয়ালটন। আন্তর্জাতিক বিজনেস ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করতে নিয়োগ দিচ্ছে বিশ্ব ইলেকট্রনিকস বাজারের বিপণন বিশেষজ্ঞদের।
সূত্রমতে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিজনেস কনফারেন্স ও পণ্য প্রদর্শনীতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে ওয়ালটন। চীনের ক্যান্টন ফেয়ার, নাইজেরিয়ার লাগোস ফেয়ার, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইলেকট্রনিকস ফেয়ারসহ অতি সম্প্রতি জার্মানির চিলভেন্টা প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ওয়ালটন। কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মেলা বার্লিনে ‘আইএফএ ফেয়ার’ ও লাস ভেগাসে ‘সিইএস ফেয়ার’-এ অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।