সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে
ঈদের কেনাকাটার প্রভাবে সেপ্টেম্বর মাসের সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। আগস্টে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাসিক মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বরে মানুষ কেনাকাটা বেশি করেছে। এর প্রভাবে গত মাসের মূল্যস্ফীতি একটু বেড়েছে। আগস্টে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ হিসাবে এ বছর মূল্যস্ফীতির হার অনেকটা কম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা মূল্যস্ফীতি অর্জনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগোচ্ছি। এ বছর আমাদের মূল্যস্ফীতি অর্জনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সেপ্টেম্বরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। আগস্টে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
সেপ্টেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। অন্যদিকে, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। আগস্টে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৭৩ শতাংশে।
গ্রামে আগস্ট মাসের সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
আগস্টে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ, তা সেপ্টেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, তা সেপ্টেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ শতাংশ।
শহরগুলোতে সেপ্টেম্বর মাসের সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। আর খাদ্যপণ্যে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
বিবিএসের মজুরি সূচক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আগস্ট মাসের চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসে সাধারণ মজুরি সূচক কমেছে। আগস্ট মাসে মজুরি সূচক ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে এ সূচক কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা