গোল্ডম্যান স্যাকস ও সিএলএসএর পূর্বাভাস

লিটারে ১০ টাকা হবে জ্বালানি তেলের দাম!

Looks like you've blocked notifications!

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ উচ্চ হারে বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম নেমেছে গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। গতকাল সোমবার বিশ্বের পণ্যবাজারে অপরিশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৬ দশমিক শূন্য ৫ ডলার বা দুই হাজার ৮৮৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

২০০৪ সালের জুলাইয়ের পর এটিই পণ্যটির সর্বনিম্ন দাম।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের আজ মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তেলের দাম গতকাল ১১ বছরের সর্বনিম্নে লেনদেন হয়েছে। তবে পণ্যটির দাম আগামীতে আরো কমে ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলার বা এক হাজার ৬০০ টাকায় লেনদেন হতে পারে। অর্থাৎ প্রতি লিটার তেলের দাম দাঁড়াবে ১০ টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস ও হংকংভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট লিউন্যাইস সিকিউরিটিজ এশিয়ার (সিএলএসএ) মতো এ ধরনের আভাস এর আগেও বিশ্বের বিশ্লেষকরা দিয়েছিলেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি তেলের সরবরাহ নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। এতেই মূলত এই পণ্যটির দাম কমছে। আর সরবরাহকারীরা উৎপাদনকারীদের সঙ্গে সন্তোষজনকভাবে চুক্তি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। গতকাল একপর্যায়ে ব্রেন্ট তেলের দাম ৩৬ দশমিক শূন্য পাঁচ ডলার বিক্রি হলেও পরবর্তী সময়ে ৩৬ ডলার ৫৬ সেন্ট বিক্রি হয়।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে তেলের উৎপাদন প্রায় রেকর্ড গড়তে চলেছে। ইরান ও লিবিয়া থেকে বাজারে ব্যাপক হারে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে এই পণ্যটির দাম ব্যাপক হারে কমছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক উত্তোলন ও সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়ায় দরপতন অব্যাহত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন প্রবাহের গতি কমাতে তেলের সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে ওপেক।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তোলনরত তেলকূপের সংখ্যা গত সপ্তাহে আরো ১৭টি বেড়েছে। এতে দেশটির মোট তেলকূপের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪১টি। এসব তেলকূপ থেকেও উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়েছে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটির তেল রপ্তানির ওপর ৪০ বছর ধরে চলা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। এটিও তেলের দরপতনের একটি কারণ।

এ বিষয়ে সিএলএসএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টোফার উড বলেন, জ্বালানি তেলের দামের বর্তমান পতন-প্রবণতা দেখে মনে হচ্ছে, আগামীতে পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলারে নামবে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের বিশ্লেষকরাও এ ধরনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন। তাঁদের মতে, তেলের সরবরাহ উচ্চ হারে বাড়তে থাকলে এর দাম আরো কমবে।