অর্থমন্ত্রী বললেন

জ্বালানি তেলের দাম কমানোর পরিকল্পনা সরকারের

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার সচিবালয়ে এমিসিসিআইর নেতাদের দাবি শোনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি : এনটিভি

জ্বালানি তেলের দাম কমানো যায় কি না—তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, দাম সমন্বয়ের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকার (এমসিসিআই) নেতারা। এর পর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ নাছিম মঞ্জুর এমসিসিআইর প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। সংগঠনের নেতারা বলেন, ২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। কয়েক বছরের মধ্যে বর্তমানে এর দাম সর্বনিম্ন। সামনে আরো কমবে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশে তেলের দামের সমন্বয় হয় না। যেসব খাতের কথা বলে তেলের দাম কমানো হয়নি, সেসব খাতে এখন আর লোকসান নেই। ব্যবসা সচল রাখার জন্য জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিকল্প নেই।

এমসিসিআইর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, শিল্পে গ্যাস সংযোগ চালু করা, কম সুদে ঋণ দেওয়া, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, উন্নয়নকাজের পর্যবেক্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানো ও আবাসন খাতের নির্মাণকাজে কম সুদে ঋণ দেওয়া।

সংগঠনের সদস্য নিশাত কবির বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও আবুধাবিতে সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণকাজ পরিচালকের কক্ষে বসে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এতে কাজের অগ্রগতি দ্রুত হয়।

সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য শোনার পর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সবার কথা শুনলাম। দাবিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখব। এরই মধ্যে তেলের দাম কমানোর বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। ঘোষণা দেওয়া হবে। তবে সময় বলা যাচ্ছে না। কেবিনেট থেকে এ প্রস্তাব আসতে হবে। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত রয়েছে। আমাদের সেভাবে কাজ করতে হবে।’

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গেও কথা বলেন এমসিসিআইর নেতারা। বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছেও একই দাবি তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যবসায় পরিকল্পনা নীতি সহজ করার কথা বলেন বলেন তাঁরা। বাণিজ্যমন্ত্রী সব দাবি শোনেন। তবে এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।