রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা

Looks like you've blocked notifications!
বাজারে রসুনের দাম বেড়েছে। ছবি : সংগৃহীত

সব ধরনের রসুনের দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে গড়ে ৪০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন রসুনের আশায় আমদানি কমেছে। এতে পণ্যটির দাম বেড়েছে।

চায়না রসুনের দাম বেশি থাকায় আমদানি কমার একটি বড় কারণ বলে দাবি করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

দেশি পুরোনো রসুনের মৌসুম এখন প্রায় শেষ। আর সব নতুন রসুন উঠতে আরো সময় লাগবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি বাজারের প্রভাব পড়েছে রাজধানীর খুচরা বাজারে। পাইকারি বাজারে রসুন কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

আমদানিকারক ও পাইকাররা কারসাজি করে এখন রসুনের দাম বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, এক মাস আগে যে রসুনের পাইকারি দাম ছিল ১০০-১১০ টাকা, সে রসুন এখন ১৪৫-১৪৮ টাকা।

তবে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‌‌‘বাজারে দেশি রসুনের মজুদ কম। বিদেশি রসুন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই দাম বেশি। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে নতুন রসুন এলে দাম কমে আসবে।’

জসিম বলেন, ‘আমরা নাটোর, ফরিদপুর ও পাবনার রসুন বেশি বিক্রি করি। চায়না রসুনের দাম বাড়ায় দেশের রসুনেরও দাম বেড়েছে।’

বাজারে তিন ধরনের দেশি ও দুই ধরনের চায়না রসুন পাওয়া যায়। দেশির মধ্যে রয়েছে একদানা, তিনদানা ও বড় আকারের রসুন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি বাজারের একদানা রসুনের মণ ছয় হাজার টাকা। তিনদানা রসুনের মণ চার হাজার ৮০০ টাকা।  আর ভালো মানের (আকারে বড়) রসুনের মণ পাঁচ হাজার ৯০০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের রসুনের মণপ্রতি দাম বেড়েছে এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ কেজিপ্রতি পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

এক মাস আগে আমদানি করা সাদা চায়না রসুনের মণ ছিল চার হাজার ৩০০ থেকে চার হাজার ৪০০ টাকা। বর্তমান দাম পাঁচ হাজার ৬০০ থেকে পাঁচ হাজার ৮০০ টাকা। অর্থাৎ কেজিতে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা। কালচে রসুনের দামও বেড়েছে সমানতালে।

চলতি বছর বাজারে আসা নতুন রসুনের মণ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৮০০ টাকা মণ।

পাইকারি ব্যবসায়ী ইসমাইল বলেন, ‘দাম কম হলেও নতুন রসুনের চাহিদা কম। পাইকারি বাজারেও একপাল্লার বেশি বিক্রি করা যায় না। ওজনে কমে যাওয়া ও পচে যাওয়ার ভয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি নিতে চায় না।’

রসুনের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী হারুন মোল্লা বলেন, ‘এখন দেশি পুরাতন রসুনের মৌসুম শেষ। নতুন মাল আসতে শুরু করেছে। তবে বাজারে এর প্রভাব পড়তে সময় লাগবে। কারণ, নতুন রসুন ওজনে কম ধরে। অন্যদিকে খুব দ্রুত পচে যায়। খুচরা দোকানিরা ঘাটতির ভয়ে এ রসুন দোকানে রাখে না।’  

শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ও আমদানিকারক মো. ইলিয়াস বলেন, ‘গত সপ্তাহে চায়না রসুন ১৩৬ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। গতকাল (শনিবার) এর দাম আরো বেড়েছে। চায়না থেকে রসুন আমদানি করি। কিন্তু এখন এর দামও বেশি। আর দেশি রসুনেরও এখন ঘাটতি চলছে।’

দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা অপরিপক্ব রসুন তুলে বাজারে ছাড়ছেন বলে জানান ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের রসুন দিয়ে বাজারের দাম কমবে না। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে রসুনের দাম কমবে।’