গোপনীয়তার শর্তে বিশাল ঘুষ সেধেছিলেন দেগুইতো!
নিজের গাড়িতে করে ২০ মিলিয়ন পেসো (ফিলিপাইনের মুদ্রা) সরানোর ঘটনা প্রকাশ না করতে এক সহকর্মীকে ঘুষ সেধেছিলেন ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) শাখা ব্যবস্থাপক (ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার) মাইয়া স্যান্তোস-দেগুইতো। আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের প্রধান রমুয়ালদো আগারাদো গতকাল বৃহস্পতিবার এই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, এ বিষয়ে চুপ থাকার বিনিময়ে দেগুইতো তাঁকে পাঁচ মিলিয়ন পেসো দিতে চেয়েছিলেন।
ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ইনকোয়ারার-এর এক প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার এসব কথা জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার বা আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের এই ব্যাংকটি থেকে সরানোর কথা কাউকে না জানানোর জন্য তোরেসকে ঘুষ হিসেবে অর্থ সাধেন দেগুইতো।
এর আগে গতকাল সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির শুনানিতে আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার শাখার কাস্টমার সার্ভিস বিভাগের প্রধান রমুয়ালদো আগারাদো বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্য এক সহকর্মীর ফোর্বস পার্ক এলাকার বাসায় তাকে এই অর্থ সেধেছিলেন দেগুইতো।
আগারাদো বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি কাগজের ব্যাগে ভরে ২০ মিলিয়ন পেসো দেগুইতোর গাড়িতে তুলতে দেখেছেন। সে সময় বলা হয়েছিল, চীনের ব্যবসায়ী উইলিয়াম গোর রেমিট্যান্সের অর্থ এটা।
আগারাদো জানান, সেদিন বিকেলে আরসিবিসির ওই শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যাঞ্জেলা তোরেসকে ক্যাশ সেন্টার থেকে ২০ মিলিয়ন পেসো নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এরপর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাশ সেন্টার থেকে সশস্ত্র গাড়িটি আসে। আমরা সেই অর্থ গুনেছি, এর পরিমাণ ছিল ২০ মিলিয়ন পেসো।’
এদিকে আগারাদোর দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক দেগুইতো। গতকাল শুনানিতে তিনি বারবার বলেন যে, এই রুদ্ধদ্বার শুনানিতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন না তিনি। নিজের জন্য আলাদা শুনানির দাবি জানান তিনি।
পরে দেগুইতোর জন্য আলাদা শুনানির সময় নির্ধারণ করেন সিনেট সদস্যরা। যেখানে পর্যবেক্ষক হিসেবে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জন গোমেজকে রাখা হবে বলেও জানানো হয়।