সরবরাহ বাড়লেও কমছে না আমদানি করা রসুনের দাম
রাজধানির বিভিন্ন বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ বাড়ায় পণ্যটির দাম কমেছে। তবে আমদানি করা রসুনের দাম কমছে না। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের দাবি, আকারে বড় হওয়ায় আমদানি করা রসুনের চাহিদা বেশি। পাশাপাশি যেসব দেশ থেকে আমদানি করা হয় সেখানেও দাম বেশি।
পাইকারি ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশি রসুন আকারে ছোট হওয়ায় গৃহিণীরা বিরক্ত হন। বেশির ভাগ গৃহিণীর পছন্দ বড় আকারের বিদেশি রসুন। ফলে দেশি রসুনের সরবরাহ বাড়লেও আমদানি করা রসুনের চাহিদা বেশি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য মতে, এক মাস আগে প্রতিকেজি আমদানি করা রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে বিদেশি রসুন ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি নতুন রসুন বাজারে আসায় ১০-১২ দিন আগে প্রতি কেজি বিদেশি রসুনের দাম প্রায় ৩০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছিল ১৬০-১৬৫ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাজারে দেশি রসুনের সরবরাহ বাড়ায় আমদানি কমেছে। বিদেশি রসুনের দাম না কমার এটি একটি কারণ। আর দাম বাড়তি থাকলেও বিদেশি রসুনের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কমেনি। আমদানিকারকদের অনেকেই চীন থেকে রসুন আনছে। সেখানে রসুনের দাম বেশি। এতে বেশি দামে পণ্যটি বিক্রি করছে তারা। এখানে আমাদের করার কিছু নেই। আর খুব শিগগিরই দাম কমার সম্ভবনাও দেখছি না।’
জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে বর্তমানে দেশি নতুন রসুন ৬৫ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
বিদেশি রসুনের দাম বাড়তি থাকার পেছনে আমদানিকারক ও পাইকারদের কারসাজি রয়েছে বলে মনে করেন খুচরা ব্যবসায়ীদের অনেকে।
বাজারে তিন ধরনের দেশি ও দুই ধরনের চায়না রসুন পাওয়া যায়। দেশির মধ্যে রয়েছে একদানা, তিনদানা ও বড় আকারের রসুন। আর চায়না রসুনের মধ্যে আছে ধবধবে সাদা ও কালচে ধরনের রসুন।
পাইকারি বাজারে ভালো মানের (আকারে বড়) দেশি রসুনের মণ দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা। চায়না রসুনের মণ ছয় হাজার ৯০০ থেকে সাত হাজার ১০০ টাকা। ১০ দিন আগে সাদা চায়না রসুনের মণ ছিল ছয় হাজার থেকে ছয় হাজার ১৫০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ী হারুন মোল্লা বলেন, দাম কম হলেও নতুন রসুনের চাহিদা কম। পাইকারি বাজারেও এক পাল্লার বেশি বিক্রি করা যায় না। ওজনে কমে যাওয়া ও পচে যাওয়ার ভয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি নিতে চায় না। তবে দেশি পুরোনো রসুনের দাম তেমন কমেনি। দেশি নতুন রসুন ৬৫-৮০ টাকা হলেও পুরোনো রসুন ১১০- ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিদেশি রসুনের দাম কমলে দেশি রসুনের দাম আরো কমবে বলে মনে করেন খুচরা বিক্রেতারা।