পোলট্রি ফিডের আয়কর তিন শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে বিকাশমান শিল্প পোলট্রি ফিডের আয়কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মশিউর রহমান।
আজ সোমবার বিকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাক বাজেট আলোচনায় সভাপতি এ প্রস্তাব করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশেনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
প্রাক বাজেট আলেচনায় মশিউর রহমান বলেন, ‘পোলট্রি ফিড শিল্প আগে করমুক্ত সেক্টর ছিল। মাঝে দুই বছর এ শিল্পে ৩ শতাংশ হারে কর আরোপ করা ছিল। করের এ হার গত বছরের বাজেটে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। এটি আসছে বছরের বাজেটে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।’
মশিউর রহমান বলেন, ‘পোলট্রি ফিডের কাঁচামাল সয়াবিন মিল আমদানির ওপর পাঁচ শতাংশ শুল্ক নতুন করে আরোপ করা হয়েছে। এ শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, ‘১৬ সিসি ধারা অনুযায়ী বর্তমানে পোলট্রি ফিড মিলের মোট টার্নওভারের ওপর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ হারে অথবা ওই শিল্পের স্বভাবিক আয়কর এর মধ্যে যেটি বেশি হবে সেটি প্রদান করতে হবে। যেহেতু আমরা আয়কর প্রদান করছি। তাই বিদ্যমান সিসি ধারা আসছে বাজেটে প্রত্যাহার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
হাঁস-মুরগির খামার পোলট্রি ও ফিস ফিড মিল, পোলট্রি শিল্পে সরবরাহকৃত পণ্যের ওপর উৎসে ভ্যাট ও আয়কর আরোপ প্রসঙ্গে মশিউর রহমান বলেন, ‘উৎসে ভ্যাট কর্তনের বর্তমান হার যথাক্রমে জোগানদার চার শতাংশ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ১৫ শতাংশ, পরিবহন ঠিকাদার ২ দশমিক ২৫ শতাংশ, স্থান ও স্থাপনার ভাড়া নয় শতাংশ হারে আরোপ করা আছে। ’
মশিউর রহমান বলেন, ‘ব্রাজিল ও আমেরিকায় পোলট্রি ফিড শিল্প ব্যাপক ভাবে বিস্তার লাভ করেছে। বাংলাদেশও সে ধারায় আছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের এ শিল্প ভারতকে চাপে ফেলেছে। তবে সরকারের সমর্থন ছাড়া এ শিল্প বড় হবে না। তাই আসছে বাজেটে কর প্রত্যাহার করে এ শিল্পকে সংরক্ষণ করতে হবে।’
প্রাক বাজেট আলাচনায় বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কাজী মুজাফফর আহমেদ বলেন, ‘গতবছর সস্তা দামে ১৫.৮৩ মিলিয়ন কেজি চা আমদানির কারণে চট্টগ্রামে চায়ের নিলাম মূল্য উৎপাদন খরচেরও নিচে নেমে গেছে। ফলে দেশীয় চা উৎপাদক ও চা শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সস্তা চা আমদানি নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সম্পূরক শুল্ক (এস.ডি) ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩২ শতাংশ করা হোক। ’
মুজাফফর আহমেদ বলেন,সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে দেশে চা শিল্পে নিয়োজিত এক লাখ ৩০ হাজার শ্রমিক ও তাদের ওপর নির্ভরশীল সাড়ে চার লাখ পোষ্যের ভরণপোষণ ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
নিম্নমানের চা আমদানি নিয়ন্ত্রিত হলে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষিত হবে বলেও মনে করেন তিনি।