নওগাঁয় চুনাপাথরের খনির সন্ধান
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে দেশের বৃহত্তম চুনাপাথরের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের জিওলজিক্যাল সার্ভে টিম (ভূতাত্ত্বিক জরিপ দল) নওগাঁয় লাইমস্টোনের (চুনাপাথর) বৃহত্তম খনির সন্ধান পেয়েছে। আমরা আশা করছি, বিপুল পরিমাণ চুনাপাথরের মজুদ আছে এখানে।'
সিমেন্ট কারখানায় এ পাথর ব্যবহৃত হয়। আমরা এখন সমীক্ষা পরিচালনা করব। আবিষ্কৃত পাথরের খনি থেকে যে পাথর পাওয়া যাবে, তা অর্থনৈতিকভাবে কতটা কাজে লাগবে, সেটা দেখা হবে। যদি এটি কাজে লাগে, তাহলে এখন থেকে আর এ ধরনের পাথর আমদানি করতে হবে না।’
নওগাঁর তেজপুর গ্রামে দুই হাজার ২১৪ ফুট মাটির নিচে এ খনির অবস্থান। এই খনির মধ্যে ৬১ ফুট নিচ পর্যন্ত খনন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এই খনির পাথর উত্তোলন কবে, কীভাবে ও কী প্রক্রিয়ায় করা হবে এবং এতে এলাকাবাসীর কোনো ক্ষতি হবে কি না—এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এখন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করব। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে এখান থেকে চুনাপাথর উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি প্রক্রিয়ায় খনি থেকে সম্পদ উত্তোলন করা যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে উন্মুক্ত পদ্ধতি। আরেকটি হচ্ছে ভূগর্ভস্থ খনি পদ্ধতি। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে আমরা যাব না। আমরা ভূগর্ভ খননের মধ্যে চুনাপাথর উত্তোলন করব। এতে এলাকাবাসীর ক্ষতি হবে না।’
বছর দুয়েক আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দেশে তেলের খনি পাওয়া গেছে। কিন্তু সে ঘোষণা সঠিক ছিল না। ওই ঘোষণার মতো এই চুনাপাথরের খনির আবিষ্কারের ঘোষণাও হারিয়ে যাবে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে নওগাঁর খনির চুনাপাথরের ‘নমুনা’ দেখান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দলের মাধ্যমে এই চুনাপাথরের নমুনা পেয়ছি।’
ঘোষিত ওই তেলের খনি থেকে তেল উত্তোলন না হলেও দেশের অন্যান্য গ্যাসের ক্ষেত্র থেকে তেল উৎপাদন হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশে উৎপাদনের ফলে তেলের আমদানি কমছে।’