নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট হলে কঠোর ব্যবস্থা : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে। চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি পণ্য দেশে মজুদ রয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে কোনো পণ্যের সংকট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো মহল পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি বা মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে ব্যবসায়ীরা আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন। এবারও ব্যবসায়ীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে কোনো পণ্যের সংকট বা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে না। সব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। পণ্যের সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখতে সরকার চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। আমদানিকারক ও সরবরাহকারীরা দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে। প্রয়োজনে টিসিবি পর্যাপ্ত পণ্য বাজারে সরবরাহ করবে, সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে দেশে চাল, আটা, চিনি, ভোজ্য তেল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, খেজুরের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আমদানিকারক,পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ঘোষণা করেছেন আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো পণ্যের সংকট বা মূল্য বৃদ্ধি হবে না। চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি পণ্য মজুদ রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে সরকার ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতায় সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এবারও বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) নাজনীন বেগম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন আকবর, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন, খাদ্য মন্ত্রণালয়, এনএসআইর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহাম্মদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির কার্যকরী সভাপতি কাজী আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি মোসতাক হায়দার চৌধুরী, টিকে গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিউল আহমদ তছলিম, মেঘনা গ্রুপের উপদেষ্টা এম এইচ মুন্সী সভায় উপস্থিত ছিলেন।