জিডিপিতে কৃষির অবদান ২০.৮৩ শতাংশ

Looks like you've blocked notifications!
ক্যাপশন : জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে সরকার কৃষিসহ সব খাতের উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় জলবায়ুর পরিবর্তনের ইস্যুটিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। ছবি : সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর মোট কর্মসংস্থানের ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ এ খাতে নিয়োজিত।  এ তথ্য জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কৃষি উৎপাদনের মূলধারায় জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন’ শীর্ষক চারদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এ তথ্য জানান।

জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ আন্তর্জাতিক  কর্মশালার আয়োজন করে।

মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলো দায়ী হলেও স্বল্পোন্নত দেশগুলো এর মারাত্মক ক্ষতির শিকার। এতে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তিনি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মতো কৃষিপ্রযুক্তি ও ফসলের জাত উদ্ভাবনের পরামর্শ দেন। জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ এরই মধ্যে জাতীয় অভিযোজন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।’  

সচিব বলেন, ‘কৃষি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এককভাবে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) এ খাত ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ অবদান রাখছে। মোট কর্মসংস্থানের শতকরা ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ এ খাতে নিয়োজিত। জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে সরকার কৃষিসহ সব খাতের উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় জলবায়ুর পরিবর্তনের ইস্যুটিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেছে।’   

সচিব আরো বলেন, ‘প্রায় সাত কোটি জনসংখ্যা নিয়ে একসময় বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ হিসেবে স্বীকৃত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার সফল অভিযোজনের ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। অভিযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা নিম্ন-মধ্যম আয়ভুক্ত অন্যান্য দেশের খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারে ফলপ্রসূ হতে পারে।’

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেন কুমার দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এনপিওর পরিচালক অজিত কুমার পাল ও এপিওর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মুহাম্মদ সাঈদ।

চারদিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশসহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৪টি দেশের মোট ২২ জন প্রতিনিধি ও ছয়জন দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার মতো কৃষিজাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।