হারবাল পণ্যে পাঁচ বছর ভ্যাট মওকুফ চান ব্যবসায়ীরা
আগামী পাঁচ বছরের জন্য মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) মওকুফ চায় হারবাল শিল্প সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। তাদের মতে, ধীরগতিতে চলা এ শিল্পের জন্য পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহার না হলে এ খাত দাঁড়াতে পারবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অব মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ দাবি জানান। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশন এবং মেডিসিনাল প্লান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ব্যবসায়ীদের দাবি জানানোর পরও সুফল পায়নি। মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ব্যবস্থাকে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীবান্ধব করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথ কমিটির সুপারিশের আলোকে সংশোধন করে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২’ বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তারপর প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছি। আমরা আশা করছি এবার আামরা সুফল পাব।’
বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি হাসিবুল রহমান বলেন, ‘এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) মনে করছে এ সেক্টরে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে।
কিন্তু, এখানে কোনো বড় কোম্পানি নেই। আমরা হাটি হাটি পা করে এগিয়ে চলছি। পাঁচ বছরের জন্য আমাদেরকে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা দিলে পরবর্তী সময়ে এ খাত থেকে অনেক রাজস্ব আয় করা সম্ভব। ’
সেমিনারে বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘এই খাতে ভ্যাট আরোপ করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হবে। তাই আমরা ভ্যাট থেকে নিস্তার চাই। পুলিশ, ডিবি, সিআইডি এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে। এটা থেকে মুক্তি চাই।’
বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী বলেন, ‘হারবাল সেক্টর একটি উদীয়মান সেক্টর। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি মিলিয়ন ডলারের বিজনেস। কিন্তু, আমরা পিছিয়ে আছি। কেননা, এখানে সরকারি প্রণোদনার অভাব রয়েছে।’