মূসক না কমলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি বাজুসের
আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বাজেটে স্বর্ণালংকারের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। মোট বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে। দাবি না মানলে ৪ জুন থেকে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাজুস।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের নেতারা এ কথা জানিয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক খান বলেন, ‘গত পাঁচ থেকে ছয় বছর স্বর্ণ ও রৌপ্যের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মন্দার ফলে জুয়েলারি ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্রেতারা অলংকার কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।’
এনামুল হক বলেন, ‘ভারতে স্বর্ণালংকার ক্রয়ে ১ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। দেশটির ভিসাপ্রাপ্তিও সহজ। এতে এ দেশের অনেক ক্রেতা ভারত থেকে স্বর্ণালংকার কিনছে। আমাদের দেশে ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার কিনতে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়। ভারত থেকে একই পরিমাণ স্বর্ণালংকার কিনলে ১০ হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়। ফলে আমাদের জুয়েলারি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।’
আগামী বাজেটে জুয়েলারি খাতে মোট ক্রয়ের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হতে পারে বলে আশংকা করছে বাজুস নেতারা। তাঁরা বলেন, ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা কোনো দিন মেনে নেবেন না।
আগামী বাজেটে বাজুসের দাবি না মানলে ৪ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে, ৫ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে এবং প্রতিটি জেলা শহরের ইউএনও ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম, বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ, সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান, সিনিয়রসহ সভাপতি জি সি মালাকার প্রমুখ।