এডিপিতে বরাদ্দ ১১০৭০০ কোটি টাকা

Looks like you've blocked notifications!

আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) এক লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে আজ বৃহস্পতিবার আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল এ কথা বলেন।

চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) সংশোধিত বাজেটে এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯১ হাজার কোটি টাকা।  

আগামী অর্থবছরে এডিপির মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ও বাকি ৪০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে।

আগামী এডিপিতে মোট এক হাজার ১৪১টি প্রকল্প রয়েছে। এর বাইরে এক হাজার ৬৮টি প্রকল্প অননুমোদিত ও বরাদ্দহীনভাবে এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ তালিকা থেকে প্রকল্প পাস করা হবে। এ জন্য এডিপিতে পাঁচ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে ৩৫৪টি প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য এডিপিতে বিশাল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে আগামী অর্থবছরে ছয় হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া পিপিপিতে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য এক হাজার ২০০ কোটি টাকা, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহু লেন সড়ক টানেল নির্মাণের জন্য ৯৫৭ কোটি টাকা, ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পে ৫১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে খরচের জন্য এডিপিতে এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অন্যবারের মতো এবারো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) বাস্তবায়নের জন্য ৩২টি প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে, রেলওয়ের জমিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ, চট্টগ্রামে পোশাক অঞ্চল নির্মাণ,পতেঙ্গা টুরিজম প্রকল্প। এ ছাড়া দেশের রেলওয়ের জমিতে হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট নির্মাণের কয়েকটি প্রকল্প আছে।

এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ব্যয় আরো ১২ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।