বিশাল বাজেট দেওয়ায় এফবিসিসিআই কৃতজ্ঞ
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য বিশাল বাজেট প্রস্তাব করায় ভীষণ খুশি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তাঁর সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবের পর এফবিসিসিআই তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানায়।
এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। কারণ, উনি আমাদের বড় বড় বাজেট উপহার দিচ্ছেন। এবারের বাজেট বাংলাদেশের হিস্ট্রিতে এত বড় বাজেট আমরা আগে দেখিনি। সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে তাদের চিন্তাধারাও আমাদের প্রাইভেট সেক্টরের মতো চিন্তাধারা, যে যা আছি আরো বড় হবে, আরো বড় হোক।’
সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ২৯ শতাংশ বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরের জন্য তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট আজ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। প্রায় দুই লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে এবারের বাজেটে, যেখানে দুই লাখ তিন হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। বরাবরের মতো বড় আকারের বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরিকল্পনা ধরে সাজানো হয়েছে এই বাজেট। যে বাজেটে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আয়-ব্যয়ের হিসাবে এবারের বাজেটে ৫ শতাংশ ঘাটতি ধরা হচ্ছে, যার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার ঋণ নেবে ৩৭ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র আর বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের মাধ্যমে বাকি অর্থের সংস্থানের পরিকল্পনা করছে সরকার। আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। এ ছাড়া বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন, পরিবহন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।