বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয়
বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের নয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ কম হয়েছে। এ সময় রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
সেখানে এসেছে এক হাজার ৭৯৫ কোটি সাত লাখ টাকা। শুধু গত মার্চেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা কম রাজস্ব আহরিত হয়েছে।
কাস্টম সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৯৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আগস্টে ১৯৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২০১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ২২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৩৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অক্টোবরে ১৬৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আসে ১৬৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। নভেম্বরে ১৬৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয় ২১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ১৯৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৯০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে ১৯৭ কোটি ২১ লাখ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৭২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ২১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বিপরীতে এসেছে ১৮৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। মার্চ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয় ২৩২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘লাগাতার অবরোধ-হরতাল রাজস্ব কমার বড় একটি কারণ। পাশাপাশি কতিপয় কাস্টম কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছেন। এ কারণেও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে ধ্স নামবে।’
মফিজুর রহমান সজন আরো বলেন, ‘নির্ধারিত চার্জের অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে পণ্যের ওপর। বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষার নামে পক্ষকাল ধরে আটেক রাখা হচ্ছে। এসব কারণে এই বন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায় কমছে।’
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে কাস্টম হাউস থেকে। কাস্টমের কতিপয় কর্মকর্তা বেপরোয়া আচরণ করছেন।’
বেনাপোল কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. আতিকুর রহমান জানান, ‘হরতাল-অবরোধের কারণে রাজস্ব আদায় কমেছে। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কঠোরতা দেখানো হচ্ছে। তবে এটি সহনশীল পর্যায়ে আনার চেষ্টা চলছে।’