চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি পোশাককে ছাড়াবে : শিল্পমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ছবি : নিউজ রুম ফটো

দেশের চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি তৈরি পোশাকশিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। 

রাজধানীর ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার ‘সরকার ও নিয়ন্ত্রকদের নীতিনির্ধারণে সহায়তার ক্ষেত্রে অ্যাক্রিডিটেশন একটি বৈশ্বিক হাতিয়ার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব অ্যাক্রিডিটেশন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। 

বিএবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ, লুবরেফ ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ও টেস্টিং ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএবির মহাপরিচালক মো. আবু আবদুল্লাহ। 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত পণ্য ছাড়া বিশ্ববাজারে রপ্তানি করা সম্ভব নয়। এ বিষয় লক্ষ্য রেখে পণ্যের মান বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড কাজ করছে। ব্যবসায়ী ও অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ডের সমন্বয়ের মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করলে পণ্যের আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। দেশে অ্যাক্রিডিটেড ল্যাবরেটরি স্থাপনের ফলে উদ্যোক্তারা দেশ থেকেই মান সনদ গ্রহণ করতে পারছেন। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সময়ের সাশ্রয় হচ্ছে।

পোশাকের মতো মান নিয়ন্ত্রণে রেখে অন্যান্য পণ্য উৎপাদন বাড়াতে পারলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে ট্যানারি কারখানাগুলো সাভারে স্থানান্তর শুরু হয়েছে। দ্রুত এ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাই। মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যামে সঠিকভাবে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারলে একদিন পোশাকশিল্পকে তা ছাড়িয়ে যাবে।’ 

অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিশ্বমানের অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানির বাধা কেটে গেছে। এরই মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ক্রেতারা বাংলাদেশি মৎস্য টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলো পরীক্ষা করে গুণগতমানের বিষয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন। এতে এখন ইইউতে চিংড়ি রপ্তানির জন্য টেস্টিং সনদ সংযুক্ত করার প্রয়োজন হচ্ছে না। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বা অ্যাক্রিডিটেশনের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে ডিসিসিআই কাজ করবে। 

বিএবি এ পর্যন্ত মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রিডিটেশন সনদ দিয়েছে। এর মধ্যে আজ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে আনুষ্ঠানিকভাবে সনদ দেওয়া হয়। এগুলো হচ্ছে জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেড, আম্বার গ্রুপের আম্বার টেক্সটাইল সার্ভিসেস লিমিটেড, কিউটেক্স সলিউশনস, হোলসিম বিডির কংক্রিট ইনোভেশন অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার ও ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের নাজদাত-ইউটিএস।