গ্যাসের দাম বাড়লে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে : ডিসিসিআই

Looks like you've blocked notifications!

গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিসিসিআই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে আবারও গ্যাসের দাম বাড়লে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত  হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি গ্যাস কোম্পানিগুলো গড়ে ৮৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। সর্বোচ্চ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের, ১৪০ শতাংশ। ১৩০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের। শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ৬২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়বে ৭১ শতাংশ। এতে সামগ্রিক পণ্য উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে।

ডিসিসিআইর মতে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। গ্যাসের দাম বাড়লে ব্যবসায় ব্যয় বাড়বে, রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে। এতে মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটে উন্নীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে। এখনো শিল্পকারখানায় পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করবে। ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে টেক্সটাইল, তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাত এরই মধ্যে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। তথাপি গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়লে এ খাতগুলোর অগ্রগতির ধারা ব্যাহত হতে পারে। ফলে উৎপাদনের সক্ষমতা কমবে ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে। তাই অর্থনীতির স্বার্থে ঢাকা চেম্বার গ্যাসের দাম বাড়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে।