গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নয়, প্রয়োজন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা : এমসিসিআই

Looks like you've blocked notifications!

গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি নয়, অব্যবস্থাপনা দূর করেই পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব। মিটারে গরমিল, অবৈধ সংযোগ, অসাধু উপায়ে বিল কমানো রোধ করা গেলে মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি না করেও পরিস্থিতির সুরাহা করা সম্ভব। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) গতকাল সোমবারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

সম্প্রতি গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) প্রস্তাব দিয়েছে গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলো। তবে এ প্রস্তাবকে অসংগতিপূর্ণ ও অযৌক্তিক বলে মনে করে এমসিসিআই।

এমসিসিআইর নেতারা মনে করেন, আবারও গ্যাসের দাম বাড়ালে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। কারণ, গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিইআরসি গ্যাসের দাম বাড়ায়। তখন বিভিন্ন শ্রেণিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়েছিল। আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে তা পণ্য উৎপাদনসহ সব স্তরেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ কমে আসছে। তাই এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত প্রয়োজন। ভবিষ্যতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিকল্প জ্বালানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুধু মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্যাস খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে গ্যাস ব্যবহারে মিটারে গরমিল, অবৈধ সংযোগ, অসাধু উপায়ে বিল কমানোসহ বিভিন্ন সমস্যা রোধ করা গেলে পরিস্থিতির সুরাহা করা সম্ভব।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি বিইআরসির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনা কিংবা সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন এমসিসিআইর নেতারা। তাঁদের মতে, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব গৃহীত হলে পরিবহন খরচ, বাণিজ্যিক উৎপাদন ও নিত্যপণ্যের খরচ বেড়ে যাবে। এমন অপরিকল্পিতভাবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি দেশের তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্য অনেক খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাকে ব্যাহত করবে।