কাগুজে নীতিতেই আটকা পোলট্রি শিল্পের উন্নয়ন
খাদ্য নিরাপত্তার স্বস্তি নিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সে বিবেচনায় প্রাণিজ আমিষের অন্যতম জোগানদাতা ও উৎস হচ্ছে পোলট্রি খাত। কিন্তু সরকারি সহযোগিতার অভাবে অনেকটাই হতাশ এ খাতের বিনিয়োগকারীরা।
নীতিমালা প্রণয়নের আট বছর পরও কাগজে-কলমেই আটকে আছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ কর্মসংস্থানের খাত পোলট্রি শিল্পের উন্নয়নে সরকারের উদ্যোগ। তাই আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন উদ্যোক্তারাও। বেসরকারি উদ্যোক্তাদের চেষ্টায় উৎপাদন বাড়লেও দাম এবং মান নিয়ন্ত্রণহীন।
পোলট্রিকে প্রাণিজ কৃষি খাত ঘোষণা করে শস্য খাতের সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল জাতীয় পোলট্রি উন্নয়ন নীতিমালায়। বার্ড ফ্লু মড়কের পর প্রণীত এ নীতিমালায় আছে কাঁচামাল থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের কথাও।
কিন্তু বার্ড ফ্লু প্রতিরোধে সরকার সাফল্য দেখালেও উদ্যোক্তাদের অভিযোগ আঁতুড় ঘরেই পরে আছে নীতিমালা। কথামালা আর বাস্তবতার মধ্যে ফারাক দেখছেন বিশ্লেষকরাও। তবে এ বিষয়ে হতাশা কেটে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
এ খাতে বিনিয়োগ লাগবে আরো ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ডিমের দৈনিক উৎপাদন বাড়াতে হবে দ্বিগুণ এবং দেড় হাজার টন বাড়াতে হবে মাংসের জোগান। বিশ্লেষকরা বলছেন, লক্ষ্য জয় করতে হলে ঠিক করতে হবে অগ্রাধিকার।
আরো দেখুন মাকসুদুল হাসানের ভিডিও প্রতিবেদনে :