ওষুধে লোকসান, প্রকৃতিতেই লাভের আশা গরু খামারিদের
কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ব্যস্ততা ততই বাড়ছে পশু খামারিদের। নিষিদ্ধ ট্যাবলেট বা হরমোনের মতো অবৈধ পদ্ধতিতে নয়, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেই গরু মোটাতাজা করছেন খামারিরা।
নিষিদ্ধ ট্যাবলেট ও ক্ষতিকারক রাসায়নিক সেবন করিয়ে একটা সময় গরু মোটাতাজা করতেন সাভারের খামারিরা। এতে লাভ তো দূরের কথা, কয়েক দফায় লোকসান গুনতে হয়েছে তাঁদের। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতায় এখন সচেতন তাঁরা।
সাভারের এক খামারি বলেন, ‘কাঁচা ঘাস, খড়, ভূসি এইগুলা খাওয়াইয়া গরু মোটাতাজাকরণ করি।’
অন্য এক খামারি বলেন, ‘মানুষ যে ধরনের গরু মোটাতাজা করে, আমরা সে ধরনের করি না। তাই এলাকাবাসীর চাহিদা হিসেবে এখান থেইকা গরু সব বিক্রি হইয়া যায়।’
কৃত্রিম রাসায়নিক প্রয়োগে ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আগাম সতর্কতা যেমন অকালমৃত্যুর হাত থেকে প্রাণিসম্পদকে রক্ষা করেছে, তেমনি মানবদেহের স্বাস্থ্য সুরক্ষাও অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটে নিশ্চিত করেছে নিরাপদ ও সুস্থ পশু।
এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ থেকে পশু আমদানি বন্ধ হওয়ায় নিয়মিত পরিচর্যার মধ্যমে দেশি গরুকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে সচেষ্ট এখানকার খামারিরা। তাঁরা মনে করছেন, দেশি গরু দিয়েই ক্রেতাদের চাহিদা মেটানো সম্ভব। আর এতে প্রত্যাশিত দাম পাওয়ারও আশা করছেন তাঁরা।