কোরিয়ান ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান
দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আরো অধিক পরিমাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি হোসেন খালেদ। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ব্যবসা সম্প্রসারণে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তাদের দেশীয় ব্যবসায়ী অংশীদার খুঁজে পেতে সহায়তা করা হবে।
মতিঝিলের ঢাকা চেম্বার ভবনে আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার মেশিনারিজ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক আলোচনায় এ কথা বলেন হোসেন খালেদ।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটরা) এবং বাংলাদেশস্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ গত ১৫ বছর যাবত ছয় শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। প্রতিবছর ৩০ লাখ লোক কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। বিশাল এ শ্রম বাজারের সুযোগ কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। দেশে ১০০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ চলছে। যেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, চামড়া, তথ্য-প্রযুক্তি ও পাদুকা শিল্পে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশস্থ কোটরার মহাপরিচালক জিনহাক হোর বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও মেশিন কোরিয়ার থেকে আমদানির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটরা) কাজ করছে।
জিনহাক হোর আরো বলেন, গত নভেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় যন্ত্রপাতির ব্যবহারবিষয়ক মেলার আয়োজন হয়। এতে ১১টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। তারা কোরিয়ান যন্ত্রপাতি বাংলাদেশের শিল্প-কারখানায় ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশ ও কোরিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়নে প্রসার ঘটবে।
হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে বাণিজ্য আলোচনায় বাংলাদেশের কোটরার মহাপরিচালক জিনহাক হোর, কোরিয়ার বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের নেতা মা সিউং রকের নেতৃত্বে আগত ছয়টি কোরিয়ান কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহসভাপতি খ. আতিক-ই-রাব্বানী, পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, সেলিম আকতার খান, এস রুমি সাইফুল্লাহ এবং মহাসচিব এ এইচ এম রেজাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।