দেশের দ্বিতীয় প্রযুক্তি পার্ক হচ্ছে সিলেটে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দেশের দ্বিতীয় হাইটেক (প্রযুক্তি) পার্ক নির্মিত হচ্ছে। এর ব্যয় হবে ১৩৪ কোটি দুই লাখ ৬১ হাজার ৫৬ টাকা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, এই পার্কে প্রায় ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের হাইটেক পার্ক প্রকল্পটি রাস্তা থেকে প্রায় ২০ ফুট নিচে। তাই আকস্মিক বন্যা ও ভূমিকম্পের হাত থেকে রক্ষা পেতে পার্কের ভূমি উন্নয়নকাজ করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকার চারপাশে মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণ, মাটি দিয়ে সাইটের উন্নয়ন ও বাঁধের ঢাল রক্ষায় ব্লক নির্মাণকাজ করা হবে।
ইমরান আহমদ জানান, সরকারের রূপকল্প-২০২১ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৬২ দশমিক ৮৩ একর জমির ওপর এই পার্ক প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ভূমি উন্নয়ন, সীমানাপ্রাচীর, অ্যাপ্রোচ রোড, প্রশাসনিক ভবন, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন এবং ফাইবার অপটিক সংযোগসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
মেগা সিটি গড়তে ওই প্রকল্পের জন্য এরই মধ্যে আরো ৬০০ একর জায়গা বরাদ্দের আবেদন জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি সিলেট সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিটির আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এই পার্কে উৎপাদন করা হবে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও যন্ত্রাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত পণ্য বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া নির্মাণ করা হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আইসিটি পার্ক ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স প্ল্যান্ট।
সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন জানান, প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। দেরিতে কাজ শুরু হওয়ায় এখন কেবল মাটি ভরাট চলছে। নির্ধারিত সময়ের পর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণও বাড়তে পারে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গড়ে তোলা হচ্ছে দেশের প্রথম হাইটেক পার্ক। এ ছাড়া ১২টি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে হাইটেক পার্ক করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।