‘যাবে ভালোডা, থাইকে যাবে খারাপ মাল’
ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়া ভারতে পাচারের আশঙ্কা করছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা।
নগরীর মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, এবার ন্যায্যমূল্যের চেয়ে কাঁচা চামড়ার দাম কম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে লাভের আশায় অনেকেই ভারতের ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে চামড়া বিক্রি করতে পারেন।
খুলনা জেলা চামড়া ব্যবসায়ী আড়তমালিক সমিতির সভাপতি মো. আমানউল্লাহ বলেন, ‘এ বছর অবস্থা খুব খারাপ আছে। টাকা-পয়সা তো পাওয়া যায়নি। সরকার দাম (গরুর চামড়া) বাঁইধে দিছে ৪০ টাকা স্কয়ার ফিট (বর্গফুট)। এ মাল তো আল্লাহর রহমতে ভারতে অবশ্যই যাবে, সরকারও ঠেকাতে পারবে না।’
আমানউল্লাহ বলেন, ‘লবণের দাম বেশি। ১৫শ টাকা লবণ (বস্তা)। একটা গরুর চামড়ায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার লবণ লেগে যায়। যদি ৪০ টাকা করে স্কয়ার ফিট মাল কেনা হয়, একটি চামড়ার দাম পড়বে ৭০০-৮০০ টাকা। এই দামে মাল পাওয়া যাচ্ছে না এই জায়গা (খুলনা)।’
ওই চামড়া ব্যবসায়ী আরো বলেন, ‘এ মাল তো এবার অবশ্যই ইন্ডিয়া পাচার হয়ে যাবে। রেট (দাম) নিয়ে এবারও ট্যানারির মালিকরা সেন্ডিকেট (সিন্ডিকেট) করছে। দেখবেন, কোরবানির পরে দাম অবশ্যই অবশ্যই বাড়বে। আমরা এখানে ৬০ টাকায়ও মাল কিনতে পারতেছি না। কাঁচা চামড়া প্রতি স্কয়ার ফিট ৮০ টাকা করে পড়ে যাচ্ছে। হয়তো আমরাও ইন্ডিয়ান পার্টির কাছে দিয়ে দেব। ইন্ডিয়ান পার্টিও আসতেছে। ওদের রেট ভালো আছে। ওরা প্রায় ১০০ টাকায় স্কয়ার ফিট নিয়ে যাবে। তারা মাল তো নিয়ে যাবে ভালোডা, থাইকে যাবে খারাপ মাল। ভালো মাল, ক্রিম মাল চলে যাবে ভারতে আর খারাপ মাল থাকবে বাংলাদেশে।’
চামড়ার ব্যবসাসংশ্লিষ্ট তিনটি ব্যবসা সংগঠন ৯ সেপ্টেম্বর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীতে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ৫০ টাকা, রাজধানীর বাইরে ৪০ টাকা। এ ছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট সর্বোচ্চ ২০ টাকা, বকরির চামড়া দাম প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা ও মহিষের চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।